রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক কৃষককে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ, সাতক্ষীরা সদরের ভাদড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটার তিন দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভাদড়া গ্রামের মীর হামিদুন্নবীর ছেলে মীর জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিবেশি মীর আব্দুল লতিফের ছেলে মাদক ব্যবসায়ি মীর শামীম আহম্মেদের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শামীম ডিবি পুলিশকে ব্যবহার করে আশরাফুল ঢালীর রান্না ঘরের দেয়ালের মাথায় একটি পাত্রে ৫০টি টুটু বোরের অকেজো গুলি রেখে তার ও আশরাফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।

প্রতিকার চেয়ে তার ভাই বর্তমানে খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত আলমগীর হোসেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের দারস্ত হন। প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করেন তার ভাই অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি কর্মকর্তা আবুল কালাম। তিনি জেল হাজতে থাকাকালিন শামীম তাদের জমির উপর ঘর বানিয়ে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার মাদক বহনকারি শ্রমিক কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও কেউ তার টিকি স্পর্শ করতে পারেনি।

জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, শনিবার দুপুর একটার দিকে তিনি তার ভিটা জমির বাগানের মধ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় তিনি শামীমকে তার সীমানায় ঢুকে পিলার বসাচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করায় শামীমের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তার মাথায় কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। খান জিয়াউর রহমান রাজীব, গ্রাম পুলিশ সামছুর রহমান ও তিনি তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার রাতেই তার ভাই আবুল কালাম বাদি হয়ে এজাহার দিলেও গত তিন দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। উপরন্তু নিজেদেও ঘর নিজেরাই ভাঙচুর করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার হমকি দিচ্ছে শামীম।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, আবুল কালাম অভিযোগ দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু মামলা হয়েছে কিনা তার স্মরনে নেই।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০)