সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সপ্তম শ্রেনীর এক মেধাবী ছাত্রী ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে সব মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। মেধাবী ওই ছাত্রীর নাম পুষ্পিতা মেহেরিন শ্রেয়া। 

সে কেন্দুয়া উপজেলা সদরের সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের মাসুদ রানার কন্যা শ্রেয়া। পৌর শহরের শান্তিবাগ মহল্লার গ্রামীন ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার এ.কে.এম নুরুল আলম খানের বাসায় ভাড়াটে হিসেবে থাকত।

শ্রেয়ার মা জানান, সকালে তাকে চুল বেঁধে দেয় শ্রেয়া। এসময় শ্রেয়া তার মাকে পরামর্শ দেয়, শ্রেয়া যেভাবে সেজে গুজে থাকে সেভাবে মাকেও সুন্দর ভাবে সেজে গুজে থাকতে। সকাল অনুমান ১০ টার দিকে শ্রেয়ার মা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে যায়। বেলা অনুমান ১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে শ্রেয়া। সেখান থেকে তাকে নামিয়ে অন্যান্য লোকজনদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা অনুমান ২টার দিকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু গিয়ে দেখেন ওই ছাত্রীকে তার মা সহ স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছেন।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, সপ্তম শ্রেনীর মেধাবী ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাটি নিবির ভাবে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আমরা পর্যবেক্ষন করছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা কি তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

সাবেরুন্নেচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙ্গালী বলেন, আমার বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রীদের মধ্যে শ্রেয়াও একজন। কোন প্রকার অস্বাভাবিক কর্মকান্ড আমাদের চোখে কোনদিন পরেনি। তবে কেন সে আত্মহত্যা করবে এটা আমাদেরও প্রশ্ন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০)