পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী বাচ্চুর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরগুনার পাথরঘাটার চাঞ্চল্যকর হামিদা হত্যাযজ্ঞের ফাঁসির রায় ঘোষণা হলো আজ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ.এম ইসমাইল হোসেন জনাকীর্ন আদালতে এ রায় ঘোষনা করেণ। এসময় আসামি বাচ্চু মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নিহত হামিদা বেগম উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মৃত্যু আবদুল ওয়াহাবের মেয়ে।
মামলা ও হামিদার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের বাচ্চু (৫৫) তার স্ত্রী হামিদাকে হত্যা করে বাড়ির পিছনের খালের পাড়ে মাটির ভিতরে পুঁতে রাখে।

নিহতের স্বজন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রতেবশীদের চাপে বাচ্চু লোমহর্ষক এই হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরে হামিদার মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় বাচ্চুকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেণ। দীর্ঘ ১১বছর বিচারাধীন থাকার পর বুধবার দুপুরে বিচারক বাচ্চু হাওলাদারকে ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত করেন।

জানা গেছে, বাচ্চুর বিরুদ্ধে পিরোজপুর আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বাচ্চু ওই এলাকার আতঙ্ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি মুঠোফোনে বলেন,ওর ফাঁসি কার্যকর হলে এই এলাকার মানুষের আতঙ্ক কমবে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বরগুনার অতিরিক্ত (পিপি) অ্যাডভোকেট আকতারুজ্জামান বাহাদুর এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কমল কান্তি দাস।

রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোশ প্রকাশ করেছেন বলে জানাগেছে। হামিদার ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও রায়ে আমরা খুশী। বোনকে তো আর ফিরে পাবো না;অন্তত ওর ফাঁসি হলে বোনের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চান হামিদার পরিবারের পাশাপাশি আমতলা এবং চরদুয়ানী, কালিবাড়ি এলাকাবাসী।

(এটি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০)