আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অন্যতম বিমানপরিচালনা খাত। এরই মধ্যে তাদের যাত্রী কমেছে প্রচুর। ফলে আয়ও কমেছে অনেকটা। এই ক্ষতির পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আইএটিএ)।

বৃহস্পতিবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন কমে গেছে অন্তত ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএটিএ’র ধারণা ছিল, এ বছরও বিমানের যাত্রী চাহিদা বাড়বে। তবে বৃহস্পতিবার সেই বক্তব্য সংশোধন করে তারা জানিয়েছে, গত এক দশকের মধ্যে, অর্থাৎ ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর থেকে প্রথমবারের মতো এ বছর যাত্রী পরিবহন কমছে।

করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই ২ হাজার ২৩৬ জন মারা গেছেন। এর বাইরে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১১ জন। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার।

এর জেরে কয়েক ডজন এয়ারলাইন তাদের চীনগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়া প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে চীনের অন্তত ৭৮ কোটি মানুষকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় রেখেছে জিনপিং প্রশাসন। বাতিল করা হয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব প্যাকেজ ট্যুর।

আইএটিএ বলছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন পর্যন্ত চীনেই বেশি। কিন্তু এটি এশিয়ার অন্যান্য দেশে আরও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে এয়ারলাইনগুলোর ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

আইএটিএ’র এই সতর্কবাণীর সত্যতা এরই মধ্যে অনুভব করতে শুরু করেছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা কান্তাস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, করোনা সংকটে এই আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ভাগে তাদের কর-পূর্ব মুনাফা একশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম হতে পারে। এছাড়া এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তাদের আয় ২১৬ মিলিয়ন ডলার কমে যাবে।

আইএটিএ’র মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলেকজাঁদ্র দ্য জুনিয়াক বলেন, কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাসে সৃষ্ট রোগ)-এর কারণে চাহিদার তীব্র মন্দায় বিমান সংস্থাগুলোতে, বিশেষ করে চীনা বাজারের সংস্পর্শে আসাদের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে। ২০২০ সাল এয়ারলাইনগুলোর জন্য ‘খুব কঠিন একটি বছর’ হতে চলেছে বলেও জানান তিনি। সিএনএন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০)