রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পূর্বজের ধরে প্রতিপক্ষরা এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের তালুক আষাঢ়ু গ্রামের হাসেন আলী ম-লের পুত্র সোমেদ আলীর(৪৫) সাথে একই গ্রামের মৃত শহীদ আলীর পুত্র সুলতান(৫৫) এর পারিবারিক কলহ ছিল। এরই জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে ওই এলাকার আরেক সুলতানের পুত্র কাপড়ের ফেরিওয়ালা আঃ বাতেন বাড়ী যাওয়ার সময় সোমেদ আলীর লোকজন হুমকী দেয়। ওইদিন বিকালেই সোমেদ আলী তার ধান ক্ষেতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে মারধর করে। এরই জের ধরে সোমেদ আলীও তার লোকজন সুলতান আলীকে মারধর করে।

এক পর্যায়ে সোমেদ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সর্জ্জিত হয়ে এসে সুলতান আলীর লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় হবিবর রহমান(৩৪) এর মাথায় দেশীয় কাস্তে দিয়ে কোপ মারে। এতে হবিবর ও আসমত আলী প্রামানিক(৬০) রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর আহত হলে এলাকাবাসীরা তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি হবিবর রহমান(৩৪) মারা যায়। হবিবরের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার হবিবর রহমান ওই এলাকার দুলাল মিয়ার পুত্র ও সুলতানের শ্যালক বলে জানা গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পরিবারগুলো পালিয়ে যায়। এসময় শহিদুল ইসলাম(৩৫) কে পুলিশ কুড়িগ্রাম সদর এলাকা থেকে আটক করে।

এছাড়া ঘটনার পরদিন বুধবার পুলিশ হাসপাতালে হবিবর রহমান আশংকাজনক থাকায় সোমেদ আলী মন্ডল (৪৫) ও এরাশাদ আলী ম-ল (৪০)কে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় কাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

শুক্রবার রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার নিশ্চিত করে বলেন, অপর আসামীদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

(পিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০)