স্টাফ রিপোর্টার : গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত পার্টনার ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘মোবিক্যাশ’বন্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী বিবেক সুদের এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গভর্নর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম, নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার, গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গ্রামীণফোন ‘মোবিক্যাশ’ আউটলেটের মাধ্যমে পার্টনার ব্যাংকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট খোলা, অর্থ স্থানান্তর, যে কোনো ধরনের বিল পরিশোধ, মোবাইলে বীমা সুবিধা, ফ্লেক্সিলোড, ই-টিকেটিংসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। এর আগে গ্রামীণফোনের ফ্লেক্সিলোড সেবা দিত এমন ৬০ হাজার এজেন্টকে মোবিক্যাশ আউটলেটের প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মোবিক্যাশের বিষয়ে গ্রামীণফোন গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘স্বপ্নের সব জানালা খোলা’ এই শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ওই বিজ্ঞাপনে এক জায়গা থেকে গ্রামীণফোনের সব পার্টনার ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকই শুধু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান। ফলে গ্রামীণফোন এ ধরনের সেবা কিংবা বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না। আর গ্রামীণফোন বলছে, তারা মোবাইল ব্যাংকিং করছে না। বরং কম খরচে ও ঝুঁকি এড়াতে নিজেদের ফ্লেক্সিলোড সেবা দানকারীদের মোবিক্যাশ এজেন্ট নিয়োগের বিষয়ে পার্টনার ব্যাংককে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া পার্টনার ব্যাংকের প্রচারণার লক্ষ্যে তারা এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। তবে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে আপত্তি উঠলে তারা তা সংশোধন করবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার বলেন, গ্রামীণফোন মোবিক্যাশ সেবার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি গ্রহণ করেছে। তাদের নিয়োগ দেয়া এজেন্টরা এখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে। প্রতিনিধিদের প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন করবে।

জানা যায়, গ্রামীণফোন এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থেকে বড় আকারের আয় করতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এই সেবা চালু করলে গ্রামীণফোনের আয় অনেক কমে যাবে।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ০৮, ২০১৪)