আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে শনাক্ত হওয়ার পর মাত্র তিন মাসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। সংক্রামক ভাইরাসটি এরইমধ্যে দুই হাজার ছয়শ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন আরো অন্তত ৮০ হাজার মানুষ।

তবে শনাক্তস্থল চীনেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে যে ৩৫টি দেশে কোভিড-১৯ রোগটি ছড়িয়েছে তাতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার চারশ জন। আর ওইসব দেশে ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৩৭ জন।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক সে পরিসংখ্যান

আফগানিস্তান: আক্রান্ত রোগী একজন; অস্ট্রেলিয়া: ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন; বাহরাইন: দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন; বেলজিয়াম: একজন আক্রান্ত হয়েছেন; কম্বোডিয়া: একজন আক্রান্ত হয়েছেন; কানাডা: ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন; মিশর: একজন আক্রান্ত হয়েছেন; ফিনল্যান্ড: একজন আক্রান্ত হয়েছেন।

ফান্স: দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, আরা মারা গেছেন একজন; জার্মানি: ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন; হংকং: ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন দুইজন; ভারত: তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন; ইরান: ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৫ জন; ইরাক: একজন আক্রান্ত হয়েছেন; ইসরায়েল: দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন।

ইতালি: দেশটিতে দুইশ ২৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন সাতজন; জাপান: আক্রান্তের সংখ্যা আটশ ৪০ জন, মারা যাওয়ার সংখ্যা চারজন (ছয়শ ৩৯ জন ডায়মন্ড প্রিন্সের জাহাজে কোয়ারেন্টাইনে); কুয়েত: আক্রান্তের সংখ্যা আটজন: লেবানন: আক্রান্ত হয়েছেন একজন: ম্যাকাও: ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন; মালয়েশিয়া: ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন; নেপাল: একজন আক্রান্ত হয়েছেন; ওমান: দুই নারী আক্রান্ত হয়েছেন; ফিলিপাইন: তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজন; রাশিয়া: দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন; সিঙ্গাপুর: ৯০ জন আক্রান্ত।

দক্ষিণ কোরিয়া: চীনের বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নয়শ ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারাও গেছেন নয়জন; স্পেন: দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন; শ্রীলঙ্কা: একজন আক্রান্ত হয়েছেন: সুইডেন: একজন আক্রান্ত হয়েছেন; তাইওয়ান: ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজন; থাইল্যান্ড: ৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন; সংযুক্ত আবর আমিরাত: নয়জন আক্রান্ত হয়েছেন; যুক্তরাজ্য: ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন; যুক্তরাষ্ট্র: ৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন; ভিয়েতনাম: ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে দেশটিতে প্রতি মুহূর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাতে বেশ হিশসিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০)