গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার নুনিয়াগাড়ী মৌজায় জেএল নং-৬৯,খতিয়ান নং -৪৭৭,৬২৯ দাগ-৭১,১৩১,৬৬,৬৮,৭২। হালদাগ -৮৯০,৮৯১,৮৮০,৮৮১। জমির পরিমান ৪৫ .৭৫ শতাংশ। এই জমি গুলো বিগত সময়ে পতিত থাকলেও বর্তমান সময়ে হিরার খনিতে পরিণত হয়েছে। তবে জমি গুলোর মালিক সাদুল্যাপুর উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের মৃত সাফায়েত উল্লার চৌধুরীর ছেলে সিরাজুল হক চৌধুরী । তিনি বেচে থাকাকালে নিজে মোত্তয়ালী হয়ে এ জমিটুকু ওয়াকর্ফ করে দেন বিগত ১৯৯৫ সালে। যেখানে সিরাজুল হক চৌধুরী সম্পদ ব্যবহারের অর্থ বন্টনের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা করে দিয়েছেন যা পরির্বতন ও সংযোজন গ্রহন যোগ্য নয়। এতে তার সুবিধাভোগী ওয়ারিশ হিসাবে ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ের নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। 

তাদের ভরণ পোষনের জন্য প্রত্যকে তিনশত টাকা হারে প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এছাড়াও আরো উল্লেখ্য থাকে যে সম্পদের আয়কৃত অর্থের ১৬ আনার ১ আনা বিভিন্ন সামাজিক সেবা মূলক কাজে খরচ একক ভাবে ব্যয় করতে পারবেন পরবর্তী নিয়োজিত মোত্তয়ালী। আর ওয়াকর্ফ মূলে বর্তমান মোত্তয়ালী কনিষ্টপুত্র আবুল হাসান চৌধুরী । তিনি প্রায় ১৪ বছর হলো বাকি ওয়ারিশদের ওয়াকর্ফকৃত সম্পদের প্রাপ্ত সুবিধা হতে বঞ্চিত করে রেখেছেন।

বর্তমান সময়ে তার ছেলে মিজান চৌধুরী সহ ৪ পুত্রের ওয়ারিশগণ একত্রিত হয়ে বোনদেরকে বঞ্চিত করে উক্ত সম্পত্তির উপরে জমানত ও ধারদেনা করে বহুতলমার্কেট নির্মাণ করছে। এ মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে অর্থ উত্তোলন করায়। ওয়ারিশগণ নির্মাণ কাজে বাধা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ওয়াকর্ফ প্রদানকারী সিরাজুল হক চৌধুরীর সুবিধা বঞ্চিত কন্যারা উক্ত সম্পত্তির উপরে একক সিদ্ধান্তে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে ও রাস্তায় দাড়িয়ে ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ জানায় ও মিজান চৌধুরী সাথে কোন প্রকার লেনদেন না করার সর্বসকলের প্রতি আবেদন করে। মিজান চৌধুরী সাথে কেউ যদি উক্ত সম্পদের বিষয়ে লেনদেন করে তার জন্য সিরাজুল হক চৌধুরীর কন্যাদ্বয় বা অন্যান্য ওয়ারিশগণ দায়ী থাকিবে না।

এ ঘটনায় বঞ্চিতদের পক্ষে পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে সিরাজুল হক চৌধুরীর কন্যা ফজিলাতুন্নেছা পারুল।

তিনি সহ অন্যান্য বঞ্চিত বোনেরা ও তাদের ওয়ারিশগণ বলেন,ওয়াকর্ফ সূত্রে আমাদের হিৎসা আমরা চাই এবং ওয়াকর্ফকৃত সম্পদে মিজান চৌধুরীর অনৈতিক ব্যানিজ্য বন্ধের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবরে আবেদন করেছি। সাধারণ মানুষ যাতে মিজান চৌধুরী সাথে এ সম্পদের বিষয়ে লেনদেন না করে তার জন্য রাস্তায় ও জমিতে দাড়িয়েছি।

পরে এদিন ২৫ ফেব্রয়ারী বিকালে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় আলোচনা করে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান । তিনি উভয় পক্ষের নিকট শুনে বিষয়টি সমাধান করার জন্য আগামী শুক্রবার আবারো উভয়পক্ষ কে নিয়ে আলোচনায় বসার সময় দেন।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০)