মানুষ আজিজ : মশার অত্যাচারে ভালো নেই রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। হাসপাতালের চারপাশের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দিনের বেলাও ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে  রয়েছেন রোগীরা। অনেক রোগীর ব্যান্ডেজ করা পা ঢেকে রাখা হয়েছে শিশুদের জন্য ব্যবহারযোগ্য ছোট মশারি দিয়ে। এদিকে কোনো নজরদারি নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন রাজধানীর শ্যামলীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ বিষয়ে খুলনা থেকে আসা নাসির হোসেন এটিএন টাইমসকে বলেন, ‘আর কইয়েন না, পঙ্গুতে আইছি, এহনে আবার ডেঙ্গু না অয়, এতো মশা মারলেও কমে না। মশার কোনো ওষুধও দেয় না। পায়ের ঘায়ে মশা বইলে জানডা বাইর হইয়া যায়। তহন ব্যথা করে।’

ভোলা থেকে হাতের চিকিৎসা করতে এসেছেন সুলতান আলী। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যদি এত মশা থাকে তাইলে ক্যামনে থাকুম। সারাদিন বড় বড় মশা ভন ভন করে মশার ওষুধ দেয় না, তাই আমরা নিরাপদে থাকতে পারতেছি না।

রংপুরের আকলিমা বেগম বলেন, ছাদ থেকে পড়ে পা ভেঙে গেছে। অপারেশন করে বিছানায় আছেন প্রায় ৩৩ দিন। আরও ২ মাস থাকতে হবে। পায়ের কাছে মশা ঘুরপাক খায়। কাটাছেঁড়া জায়গায় মশা কামড় দিলে অনেক যন্ত্রনা করে। তাই মশারি দিয়ে ঢেকে একটু আরাম পাচ্ছি। এরপরও মাঝে মধ্যে মশা কামড়া দেয়।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকার এটিএন টাইমকে বলেন, হাসপাতালের আশপাশে বেশ কিছু নালা-নর্দমা এবং কৃষি কলেজের একটি জলাশয় থেকে মশার উৎপত্তি । আর হাসপাতালের ভেতর মশা নিধন ওষুধের স্প্রে করা যায় না। তাই মশা ঠেকানো যাচ্ছে না।

হাসপাতালে মশার উপদ্রব খুবই বেশি। এতে রোগীদের মশার যন্ত্রনা পোহাতে হচ্ছে। মশা নিধনের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেও স্বীকার করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।



(এটি/এপ্রিল ১৮, ২০১৪)