স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়টি গভীরভাবে দেখেই হাইকোর্ট আইনি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান আবাসিক অফিসে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি থেকে অনেক কিছুই দাবি করা হয়, যেগুলো অযৌক্তিক। সেগুলোর জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘ডাক্তাররা জানিয়েছেন তার (খালেদা জিয়া) যেই চিকিৎসাটা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসাটা চালানোর জন্য অনুমতি প্রয়োজন, কিন্তু তারা সেই অনুমতি পাননি এবং সেই জন্যই তারা এই চিকিৎসা শুরু করতে পারছেন না। একজন যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়াটাই স্বাভাবিক। এখানে যে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না সেটাকে আমরা তার দিক থেকে অস্বাভাবিক মনে করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়েছিল। তখন আপিল বিভাগ কিছু অবজারভেশন দিয়ে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আবার বিএনপির আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করেন। সেখানে আদালত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডাক্তারদের কাছে একটা প্রতিবেদন চেয়েছেন। আদালত বলেছেন সেই প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য আমাদের বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। সেখানে মৌলিক প্রশ্নটা ছিল, আপিল বিভাগ তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য খালেদা জিয়ার একটা অনুমতি লাগবে, সেই অনুমতি তিনি দিয়েছেন কি-না। ডাক্তারদের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তিনি নাকি সেই অনুমতি দেননি।’

আনিসুল হক বলেন, ‘যেহেতু চিকিৎসাটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যায় এবং সেখানে যেহেতু তারা খালেদা জিয়ার অনুমতি পাননি, তাই তারা চিকিৎসা কাজ শুরু করতে পারেননি। আদালত বলেছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেহেতু অনুমতি দেননি, এতে আমাদের করার কিছু নেই। সেজন্য আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয়েছে।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০)