বাগেরহাট প্রতিনিধি : মৎস্য ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা বারুইখালী ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান রানার (৪০) চোখ উপরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এর পর থেকে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার শেখপাড়া এলাকার লিয়াকত কাজী (৫৫), মহারাজ খান (৪৫) এবং শাহজালাল আকন (৪০)। এর আগে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) রানার বড় ভাই ফারুক হাওলাদার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের এর পর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এজাহার নমীয় এ তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা এজাহার নামীয় তিন আসামীকে আটক করেছি।

এর মধ্যে গত বুধবার রাতে উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে লিয়াকত কাজী, একই দিন সকালে বারুইখালী গ্রাম থেকে মাহারাজ খান ও ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বারুইখালী এলাকা থেকে এজাহার আরও এক আসামি শাহজালাল আকনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামীদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ বলেন, নাজমুল হাসান রানা দুই বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। সে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নতুন যুবলীগের কমিটিতে সম্পাদকীয় পদে থাকার কথা রয়েছে তার।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার শেখপাড়া বাজার এলাকায় পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ১৫-২০ জন রানার উপর হামলা করে। পরে গুরুত্ব আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০)