মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার অর্ন্তবর্তী ৮টি কার্পেটিং রাস্তাসহ এলাকার বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অনপুযোগী হয়ে পরায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসি। বর্ষা মৌসুমে হাটতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শির্ক্ষাথীরা। পৌরসভায় বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ গোপন টেন্ডার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও রাস্তাগুলোর পুর্ণসংস্কারের কোন উদ্যেগ নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এতে এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা নিয়ন্ত্রণকারী ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি গ্রামবাসি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালকিনি উপজেলার পিছনের ব্রিজ থেকে কাসিমপুর হয়ে পৌরসভার শেষ মাথা, কালকিনি কাসিমপুর জোরা ব্রিজ থেকে উত্তর কৃষ্ণনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট সাদিপুর মসজিদ থেকে নয়াচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালপুরহাট থেকে রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলক্ষি ব্রিজ থেকে লক্ষিপুর পখিরার শেষ মাথা, কালকিনি মাছ বাজার থেকে ঠেঙ্গামারা খোকন বেপারীর বাড়ী, আকমল কমিশনারের বাড়ী হতে পাঙ্গাসিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালকিনি-সাহেবরামপুর সড়কের বহদ্দারঘাট থেকে ঝুরগা পযর্ন্ত কাপেটিং রাস্তার মাঝে মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন সময় ভ্যান, ইজিবাই, টমটম, নসিমন ও করিমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বারবার পৌরসভার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থিরা নানা সমস্যা নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। সংস্কারের নামে পৌরসভার লাখ লাখ টাকা খরচ দেখালেও হাজার হাজার মানুষের চলাচলকারী রাস্তাগুলোর পুর্ণসংস্কারের কোন ব্যবস্তা নেয়া হচ্ছেনা।

পশ্চিম শিকারমঙ্গল গ্রামের কামাল সরদার, ঠেঙ্গামারা গ্রামের মানজেল হাওলাদার, উত্তর কৃষ্ণগ্রামের হাসান বেপারী, কাসিমপুরের সোহরাব হোসেন, মিনাজদি গ্রামের জাহিদ হাসানসহ শতাধিক এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা। বর্ষা আসলেই রাস্তায় কাঁদা হয়ে যায় বড় বড় গর্তের ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাগুলোর পুর্ণসংস্কার করা হোক।

এব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম লুৎফর রানা বলেন, রাস্তাগুলো পুর্ণনির্মাণ করা জরুরী কিন্তু এলজিইডির মাধ্যমে রাস্তাগুলো করা হয়েছিল। আমরা আবেদন করেছি রাস্তার কোড নং পাওয়ার জন্য। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পৌরসভার মেয়র মো. এনায়েত হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

(এএসএ/অ/আগস্ট ০৮, ২০১৪)