মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে অফিস সহায়ক মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন নিজ উপজেলায় ১৮ বছর চাকুরী করার সুবাধে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উৎকোচের বিনিময় পছন্দের শিক্ষকদের একাধিকবার প্রশিক্ষন পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষারমান উন্নয়ন কর্মসূচীর অর্থায়নে শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং লিডারশীপ, প্রাক-প্রাথমিক, ইনডাকসন, টি এস এন সহ নানা প্রশিক্ষণ বছরের প্রায় সব সময় অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে ইন্সট্রাক্টর কাজ করে থাকেন ওই অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ মোছাদ্দেক।

এখানকার অফিস সহায়ক নিজেকে অঘোষিত কর্মকর্তা মনে করে সকল কাজ তার নিজের মত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ। প্রশিক্ষনে ব্যাচ তৈরী করে ডেপুটেশন ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব উপজেলা শিক্ষা অফিসারের থাকলেও অফিস সহায়ক মোঃ মোছাদ্দেক নিজে প্রশিক্ষনার্থীদের তালিকা তৈরী করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর এনে নিজের পছন্দের শিক্ষককে ফোন করে প্রশিক্ষণে আনেন। এ নিয়ে কম প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সাতদিনের প্রশিক্ষনে এক প্রশিক্ষনার্থী অংশ গ্রহন না করে এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতার টাকা উত্তোলনের অভিযোগও উঠেছে। এ নিয়ে অন্য প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কের সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটেছে। অফিস সহায়ক এ উপজেলায় ২০০২ সালের জুলাই থেকে কর্মরত আছেন মির্জাগঞ্জে। তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পছন্দের শিক্ষকদের একাধিকবার প্রশিক্ষনে নাম দিয়ে দেন অর্থের বিনিময়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষকরা বলেন, একই শিক্ষককে বারে বারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষকই প্রশিক্ষন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রশিক্ষন থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোপ বিরাজ করছে।

এছাড়াও ট্রেনিং শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থীদের কাজ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে জনপ্রতি ৩০০ টাকা হারে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে অফিস সহায়ক মোছাদ্দেকের বিরুদ্ধে। তাঁর ভাইয়ের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সরকারি অফিসের কাজকর্ম করান। অথচ এ অফিসের ইন্সট্রাক্টর কিছুই বলেছেন না তাকে।

এ ব্যাপারে অফিস সহায়ক মোঃ মোছাদ্দেক বলেন, অফিসে প্রশিক্ষনের সময় কাজের চাপ বেশি থাকে তাই আমার ভাইয়ের মেয়ে দিয়ে কাজ করাচ্ছি, এতে দোষের কি। আমি কোন টাকা নেই না।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ হেমায়তে উদ্দিনের কাছে একাধিকবার এ বিষয়ে তথ্যর জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি তথ্য না দেয়ার টালবাহানা করেন এবং তথ্য অধিকার ফরমে তথ্য চাওয়ার জন্য বলেন। তবে লিখিত ভাবে তথ্য অধিকার ফরমে তথ্য চাইলেও তিনি তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

(ইউজি/এসপি/মার্চ ০১, ২০২০)