সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া সদর থেকে বরুন হয়ে ভাকোয়াদী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। আধা সংস্কার করা এ সড়কের ধুলায় অতিষ্ট এলাকাবাসী। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীরা পড়ছে বিপাকে। ধুলার আস্তরণে হারাতে বসেছে সড়কের দুই পাশের সবুজ পরিবেশ। সড়কে পাথরকুচি থাকায় প্রায়ই যানবাহন বিকল হওয়া ঘটনা ঘটছে। 

আশপাশের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে পড়ছে। পথচারীরা চলছে হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে। সড়ক দিয়ে চলার সময় যানবাহনের দ্রুতগতিতে সৃষ্ট ধুলায় নিঃশ^স নিতে কষ্ট হয় বলে চালক ও যাত্রীরা জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খোদাদিয়া, বরুন, কোটবাজালিয়া, ভাকোয়াদী গ্রামের মানুষ ধুলার কারণে নিত্য দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সংস্কার কাজের জন্য সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়। কার্পেটিং না করায় ইটের খোয়া ধুলাবালিতে পরিণত হয়েছে। সড়ক দিয়ে যানবাহন চলার সময় যানবাহনের দ্রুত গতিতে ধুলা উড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানুষের বাড়িঘরে পড়ছে। ধুলার কারণে সড়কের দুই পাশের সবুজ চেহারা এখন আরা দেখা যায় না।

খোলা খাবারের দোকানের সামনে টানানো হয়েছে কাপড়। সগকটির কাজ শুরু থেকে অদ্যবদী পযর্ন্ত একফুটা পানিও সড়কে ছিটানো হয়নি বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন। কাছাড়া সড়কে ৩নং ইটের সুরকী ব্যবহারের ও গুরুতর অভিযোগ উঠছে। কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর এক কর্মকতার যোগসাজসে নিম্ম মানের ইটের সুরকি দিয়ে কাজ করার ও অভিযোগ রয়েছে।

কোটবাজালিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র নাঈম বলেন, ধুলাবালির কারণে ঠান্ডা, সর্দিকাশি লেগেই থাকে। ঘরের ভিতরের পড়ার টেবিল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। একদিন টেবিল পরিষ্কার না করলে ধুলার আস্তরণ পড়ে যায়। পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আগেই ভালো ছিল। অন্তত সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করা যেত। এখন নাক মুখ বেঁধে চলাচল করলেও ধুলায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। প্রতিদিন গাড়ি মুছতে হয়। ধীরগতিতে যানবাহন চলাচলের ফলে যাত্রীরা বিরক্তবোধ করে। দ্রুতগতিতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সড়কে ধুলার কারণে কুয়াশার মাতো হয়ে যায় বলে জানান কাপাসিয়া-ভাকোয়াদী সড়কের অটো রিকসা মালিক সমিতির সভাপতি রিপন হোসেন।

কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি আবুল হাসানাত মহিউদ্দিন বলেন, আমি প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাহিরে ছিলাম কয়েকদিন। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে অবশ্যই দেখব। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য খুব দ্রুত সড়ক কার্পেটিং এর কাজ শুরু করা হবে।

(একেডি/এসপি/মার্চ ০৩, ২০২০)