নিউজ ডেস্ক : স্বপ্নের চেয়েও বড় করে স্বপ্ন দেখেন সন্তানের জন্য তার বাবা-মা। প্রায় আকাশের গায়ে গিয়ে ঠেকে তাদের ইচ্ছের রংধনু। নিজেদের জন্য কোন অবশেষ না রেখে সাধ্যের পুরোটা দিয়েই তারা বেঁধে দিতে চান সন্তানের দাঁড়াবার মাটি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেন শহরের সেরা বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির নিশ্চয়তা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সর্বচ্চ সনদ হাতে পাওয়া। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ফলাফলে তার ভাগ্য নির্ধারিত করে দেয়া কি সকল স্বপ্নের মৃত্যু নয়? বাতিঘর বিশ্বাস করে বড় মাপের কোন মানুষই প্রতিষ্ঠানের গর্বে গর্বিত নন, বরং তাঁরা উল্টো প্রতিষ্ঠানকে গৌরব দান করেছেন।

বাতিঘর শিশুদের সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মেহেদি হাসান শোয়েব উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, বৈরি সময় আর পরিবেশের ভেতরে থেকেও শিশুদের মন-বুদ্ধি-স্বভাব যেন বিকশিত হতে পারে তাদের ভেতরে ন্যায়নীতির শুভবোধ, রুচিবোধ আর সৌন্দর্যবোধ কিছুটা হলেও যেন জন্মে, তারই প্রয়াস চালানো বাতিঘরের লক্ষ্য। শিশুদের একেকটি চারু বিদ্যায় দক্ষ করে তোলাই অভিপ্রায় নয়। বরং কবিতায়, গানে, অভিনয়ে, ছবি আঁকায়, গল্প লেখায়, নাচে, কথায়, যুক্তিতে, ভ্রমণে তারা যেন নিজেদের প্রকাশ করার আনন্দ পায় সেটাই বাতিঘরের চাওয়া। গতানুগতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো শিশুদের কেবল একটি বা দুটি বিষয় শেখানো নয়, বরং অনেকগুলো বিষয়ের সাথে প্রাথমিক পরিচয় করানো হয় এখানে, যাতে করে শিশু নিজেই ঠিক করে নিতে পারে তার গতি-পথ। প্রতি মাসে একবার বাতিঘরের শিশুরা বিদ্যালয়ের বাইরে ক্লাস করে, এমনটাই নিয়ম। নীল আকাশের নিচে, কাদা মাটিতে ছুটে বেড়ায় প্রজাপতির মতো। চার থেকে ষোল বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে সপ্তাহে দুদিন এখানে চর্চা করা হয়- সঙ্গীত, নৃত্য, চারু ও কারুকলা, পাঠ ও আবৃত্তি, যুক্তি কথা, বিশ্ব পরিচয় এবং আরও অনেক কিছু।

তিনি জানান, বাতিঘরের ২য় ব্যাচের ক্লাস শুরু সেপ্টেম্বর, ২০১৪ থেকে। আসন সংখ্যা সীমিত (প্রতি গ্রুপে সর্বোচ্চ ২০ জন)। ক্লাস প্রতি শুক্র ও শনিবার, বিকেল ৪টা থেকে ৬টা। তিনি আরও জানান, আবেদনপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও ভর্তি প্রক্রিয়া প্রতি শুক্র ও শনিবার, বিকেল ৩টা থেকে ৭টা পর্যন্ত। ঠিকানা : ৫/৭, ব্লক-ই, লালমাটিয়া, ঢাকা। ফোন: ০১৭৬৭৮৪৫৮৭৩।


(ওএস/অ/আগস্ট ০৮, ২০১৪)