সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় খিড়ার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে খিড়ার আবাদ করা হলেও উৎপাদিত পন্যের প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না কৃষক। ফলে খিড়া নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র মোজাফরপুর ইউনিয়নেই বেশি খিড়ার আবাদ করা হয়েছে। ২০ হেক্টর জমির শতকরা ৮০ ভাগ জমিতে শুধু মোজাফরপুর গ্রামের কৃষকরাই খিড়া আবাদ করেছেন।

মোজাফরপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল আলম ছোটন বেলায়েত হোসেন আরাফাত আলী জানান, ১ কাঠা অর্থাত ১০ শতাংশ জমিতে খিড়া আবাদ করতে সার কীটনাশক ও শ্রমিক সহ ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রচন্ড শীত কাটিয়ে খিড়ার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু ৩ থেকে ৪ টাকা কেজি অর্থাৎ ১ মন খিড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। ঢাকা যাত্রাবাড়ি সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব খিড়া বিক্রি হচ্ছে। ট্রাক দিয়ে খিড়া পরিবহন করে মহাজনদের লোকজন খিড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

কৃষক আরাফাত মিয়া বলেন, ১ কাঠা জমিতে খিড়ার ফলন ফলাতে যে টাকা খরচ হয়েছে ১কাঠা জমির খিড়া বিক্রি করে সেই টাকা এবার উঠানো যাবেনা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, খিড়ার উৎপাদন দেখতে মোজাফরপুর গ্রাম গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতে এ বছর যে পরিমান জমিতে খিড়ার আবাদ করা হয়েছে গত বছর সে তুলনায় ছিল অর্ধেক। আবাদ ও উৎপাদন দুটোই বেমি হয়েছে। তাছাড়া লম্বা শীত থাকায় বাজারে খিড়ার তেমন একটা চাহিদা দেখা দেয় নি। তাই কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেননা।

তবে তিনি বলেন, আগামী রমজান মাস পর্যন্ত খিড়া থাকলে তারা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে পারবেন।

(এসবি/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২০)