আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সাগর কন্যা কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাতনামা তরুণীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম ইশিতা কর (১৭)। ইশিতা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের নিপুল করের মেয়ে ও কালকিনির ডাসার সরকারী শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।

বৃহস্পতিবার সকালে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা ড্রেজার চালক আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৩৩) কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কুয়াকাটার হলিডে ইন নামের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে সম্ভবত ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। ওসি আরও জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারী সকালে কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ইশিতা কর রহস্যজনক নিখোঁজ হন।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান, নিহত তরুণীর মোবাইল ফোনের কললিষ্টের সূত্র ধরে গৌরনদী ও মহিপুর থানা পুলিশ বুধবার গৌরনদীর চাঁদশী গ্রামে তদন্তে যান। সেখান গিয়ে নিহতের ছবি দেখানোর পর জানতে পারেন নিহতের বাড়ি আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে। সে ওই গ্রামের নিপুল করের কন্যা ইশিতা কর। পরবর্তীতে নিপুল করের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন দিয়ে গৌরনদী মডেল থানায় আসতে বলেন। নিপুলসহ তার স্বজনরা বুধবার সন্ধায় গৌরনদী মডেল থানায় আসার পর তাদেরকে উদ্ধারকৃত তরুণীর লাশের ছবি দেখানো হয়। ছবি দেখে স্বজনরা ইশিতাকে শনাক্ত করেন।

মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটার হলিডে ইন নামের আবাসিক হোটেলের ১০৮ নম্বর কক্ষে স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে ওই তরুণী ও এক যুবক রুম ভাড়া করে। এসময় হোটেল রেজিস্টারে যুবক তার ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে।

ওসি আরও জানান, আবাসিক হোটেল থেকে গত ৩ মার্চ সকালে লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশ বাদি হয়ে ইউডি মামলা করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। পরে নিহত তরুনীর বাবা মহিপুর থানায় পৌঁছার পর আব্দুর রাজ্জাক সরদারকে আসামি করে বৃহস্পতিবার দুপুরে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

(টিবি/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২০)