ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ভাটার এক ট্রাক্টর শ্রমিককে হত্যার পর বস্তায় ভরে ছেলের মরদেহ বাড়ীতে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন নিহত ভাটা শ্রমিকের মা। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীত উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টায় নিহত ট্রাক্টর শ্রমিকের মা এ অভিযোগ করেন। এর আগে ভোরবেলা বাড়ির পাশে একটি থ্রি-হুইলার (পাগলু) গাড়িতে করে ওই শ্রমিকের মরদেহ বাড়িতে ফেলে যায় ইটভাটার লোকজন।

নিহত ট্রাক্টর শ্রমিক রিপন আলী (১৯) জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় দানেশ নামে এক ব্যক্তির ইট ভাটায় ট্রাক্টর শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিল।

নিহতের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরবেলা তার ছেলেকে হত্যার পর বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে ফেলে যায় অজ্ঞাত কয়েকজন। পরে প্রতিবেশীরা খবর দিলে রিপনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে অনেক আগেই সে মারা গেছে বলে জানান চিকিৎসক। এর আগে বুধবার (৪ মার্চ) সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল রিপন। সারাদিন বাড়ি ফেরেনি।

এটি হত্যাকাণ্ড নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন ইটভাটার মালিক দানেশ আলী।

তিনি জানান, বুধবার গভীর রাতে খড়ি আনার সময় সদর উপজেলার ভেলাজান নামক স্থানে প্রতিবন্ধী স্কুলের সামনে ট্রাক্টর উল্টে খড়ির নিচে চাপা পড়ে রিপন ও আল আমিন। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিপন মারা যায়। কিন্তু কোন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার বিস্তারিত জানাতে পারেননি ইটভাটার এই মালিক।

রিপনের মায়ের অভিযোগকে সাজানো হিসেবে দাবি করে তিনি জানান, বস্তায় মুড়ে তার লাশ ফেলে যাওয়া হয়নি। মারা গেছে এ জন্য পাগলুতে করে রিপনের লাশ বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক ইসাহাক আলী জানান, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। সড়ক দুর্ঘটনার একটি প্রসঙ্গ উঠেছে ঘটনায়। পুলিশ ওই ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত শেষেই প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।

এ ঘটনায় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরেক ইটভাটা শ্রমিক আল আমিন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার জ্ঞান এখনো ফেরেনি।

(এফ/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২০)