স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরে লিচুগাছগুলো এবার মুকুলে ভরে গেছে। মুকুলের সমারোহে তাই লিচু বাগানগুলোতেগেলবারের চেয়ে বেড়ে গেছে মৌমাছিদের আনাগোনা। বসে নেই মৌয়ালরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা আসা শুরু করেছে। মৌয়ালদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে, দিনাজপুরের লিচু বাগানগুলো। বিশেষ করে বিরল উপজেলার মাধববাটি ও সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রাম তাদের অবস্থানটাই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মৌয়ালরা প্রচুর মধু সংগ্রহ করবেন তেমনি অন্যদিকে মৌমাছির দ্বারা পরাগায়ন হয়ে বাড়বে লিচুর ফলন। এমনটাই মন্তব্য করছেন,কৃষি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তুু মধ্যস্বত্ব ভোগীদের হাতে জিম্মি এখানকার মধু উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা। ফলে মধুর ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে মধুচাষে আগ্রহ হারাচ্ছে মৌয়ালরা। 

ধানের জেলা দিনাজপুরে এ বছর ৫ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা করেছে কৃষিবিভাগ। আর চাষাবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৫’শ ৪৪ হেক্টর জমিতে। লিচুর ফলনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২৯হাজার ৬’শ ৬২ মেট্রিক টন।

দিনাজপুরের সু-স্বাদু লিচু’র খ্যাতি রয়েছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারো লিচুর ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। দিনাজপুর জেলায় সব উপজেলাতেই কম বেশি লিচু হলেও সদরের মাসিমপুর ও বিরল উপজেলার মাধববাটির লিচুর বিশেষ সুনাম রয়েছে। মাদ্রাজি,বেদেনা-বোম্বাই-চায়না থ্রি, কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপাদন হয় এ জেলায়। বেদেনা লিচু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়।

মৌসুমের শুরুতেই দিনাজপুরের লিচু গাছ গুলোতে লিচুর মুকুলে ভরে গেছে। বাগান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন,বাগান মলিক, লিচু চাষি ও মৌসুমি লিচু ব্যবসায়ীরা। লিচু গাছে পানি দেয়া,পোকা মাকড় দমনে চলছে স্পে করা এবং গাছের পরিচর্যা। বাগানগুলো ভরে উঠেছে, মৌ-মৌ গন্ধে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানিয়েছেন, দিনাজপুর জেলায় এবার ৫ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়। আর চাষাবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৫’শ ৪৪ হেক্টর জমিতে। ফলনের দিক থেকে এবার লিচু উৎপাদনের পরিমান দাড়াবে ২৯ হাজার ৬’শ ৬২ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।তারা লিচু চাষিদের পোকামাকড় দমনে পরামর্শ দিচ্ছেন।

(এসএ/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২০)