বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোংলা বন্দরের আউটার বারে অবস্থানরত একটি বিদেশী জাহাজের তিন নাবিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’দিন ধরে ওই কয়লাবাহী জাহাজটিতে পন্য খালাস বন্ধ রয়েছে। তিন নাবিকের মেডিকেল রিপোর্ট ঢাকার আইইডিসিআর থেকে না আসায় মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এমভি সেরিনিটাস এন’ নামের এই জাহাজটি থেকে এখনো পন্য খালাস শুরু করা যায়নি বলে দাবী করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন ‘কোয়ানটম’ করে রাখা এই জাহাজটিতে ১ গ্রিস ও ১৯ ফিলিপাইনের নাগরিকসহ ২০ জন বিদেশী নাবিক অবস্থান করছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ফখর উদ্দিন জানান, গত বুধবার (৪ মার্চ) ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে ‘এমভি সেরিনিটাস এন’ জাহাজটি বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৩ নম্বর মুরিং বয়ায় নোঙ্গর করে। ওই জাহাজের তিন নাবিক হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ। সতর্কতা হিসেবে তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত হতে পোর্ট হেলথ বিভাগ ওই তিন নাবিকের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর’এ পাঠায়। জাহাজেই ফিলিপাইনের নাগরিক ওই তিন নাবিককে পর্যবেক্ষনে ইউনিটে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাহাজ কয়লা খালাসে নিয়োজিত সকল শ্রমিক নামিয়ে এনে পন্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়। এখনো ওই তিন নাবিকের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোন ছাড়পত্র না পাওযায় ওই জাহাজ থেকে পন্য খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মোংলা পোর্ট হেলথ কর্মকর্তা ডা. মো. সামীর আসিফ জানান, জাহাজের তিন নাবিক ফিলিপাইনের নাগরিক জ্বরে আক্রান্ত হলে আমরা তাদের পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হতে জাহাজটিকে কোয়ানটম করে রেখে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর’এ পাঠায় পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর থেকে পাঠায় রিপোর্ট পাওয়া গেলেই পোর্ট হেলথ বিভাগ থেকে ওই তিন নাবিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট দেয়া হবে। ওই জাহাজে ২০ জন বিদেশী নাবিক রয়েছে। তবে, এনিয়ে আতংকের কিছু নাই বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই হেলথ কর্মকর্তা।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২০)