স্টাফ রিপোর্টার : ক্যাসিনোকাণ্ড ও টেন্ডারবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ঠিকাদার জি কে শামীমের হাইকোর্ট থেকে জামিন রাষ্ট্রপক্ষ না জানার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখনজক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই আইনে স্পষ্ট বলা আছে, জামিনের ব্যাপারে দুই পক্ষকে শুনতে (জানতে) হবে। এখানে যদি সেটার ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আর যদি ব্যত্যয় না হয়ে থাকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি যে বলেছিলেন তিনি জানতেন না, সেটার তদন্ত করা হবে।’

রবিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে হোটেল প্যান প্যাসিফিকে ‘ব্যবসা সহজীকরণের সম্পত্তি নিবন্ধন সূচক নিয়ে কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা’ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র ও মাদক আইনে করা দুটি মামলায় পৃথক আদালত থেকে জামিন পান তিনি। বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান।

জি কে শামীমের জামিন হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ জানত না- এটা কীভাবে সম্ভব হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল যখন টেলিভিশন স্ক্রলে এটা দেখেছি, আমি এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যাপারটা হয়েছে, একটা হয়েছে অস্ত্র মামলা, অস্ত্র মামলাটা যে আদালতে করা হয়েছে, এটা একটা আপিল করা হয়েছিল। আপিলে বেইল (জামিন) দেয়া হয়েছিল।‘

তিনি বলেন, ‘তারপরও যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, তিনি নাকি অ্যাটর্নি জেনারেলকে কিছুই জানাননি। আমি আজকে খবরের কাগজে পড়েছি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান বলেছেন, তিনি বলেছেন জানতেন না।’

আনিসুল হক বলেন, ‘আমি তৎক্ষণাৎ অ্যাটর্নিং জেনারেলকে বলেছি এ ব্যাপারে, কেন রাষ্ট্রপক্ষ জানত না এবং যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল, তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, এটা দেখার জন্য। আর গতকালকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আপিল বিভাগে আপিল করা হবে এ আদেশের বিরুদ্ধে। আমি আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম এখন যে, ইতোমধ্যে এ জামিন বাতিল হয়েছে।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২০)