চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের মো: জুলমত সরদারের ছেলে দরিদ্র আনিছ আলী (৩২)। অটোভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। এর মাঝে হঠাৎ করেই কিডনীতে পাথর ধরা পড়ে তার। সেখান থেকে পাকস্থলীতে ধরা পড়ে টিউমার। সর্বশেষ অপারেশন করার পর শরীরে বাসা বেঁধেছে ঘাতক ব্যধি ক্যান্সার। ভিটেমাটি, গবাদি পশু যা ছিল চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব বিক্রি করে এখন নি:স্ব দুই সন্তানের জনক আনিছ। অর্থাভাবে বন্ধ হতে বসেছে তার চিকিৎসা। সংসার চলছে প্রতিবেশি স্বজনদের দেয়া সহযোগিতায়।

দুই বছর আগেও সুস্থ ছিলেন আনিছ। অটোভ্যান চালিয়ে চার সদস্যের পরিবারের খরচ চলে যাচ্ছিল। এক ছেলে সোহাগ (৪) ও এক মেয়ে সুমি (৯) কে নিয়ে দুঃখ-কষ্টে দিন কাটালেও সুখের অভাব ছিল না। ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট মুখ বুঁজে সহ্য করতেন। হঠাৎ করেই সুখের সংসারে দেখা দেয় অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার। আনিছের কিডনীতে পাথর ধরা পড়ে। অপারেশন করার পর কিছুদিন সুস্থ ছিলেন। সে ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই গত ৫/৬ মাস আগে পাকস্থীতে টিউমার ধরার পরে তার।

এরপর পাবনা ও রাজশাহীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানান আনিছের শরীরে বাসা বেঁধেছে ঘাতক ব্যধি ক্যান্সার। এর মাঝে চার মাস আগে টিউমার অপারেশন করলেও মুক্তি মিলছে না ক্যান্সারের হাত থেকে। প্রতিমাসে দিতে হচ্ছে কেমো। রাজশাহীতে গিয়ে প্রতিবার কেমো দিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে আনিছের শরীরে ৬টি কেমো দেয়া হয়েছে।

আনিছ জানান, দুই বছর ধরে এসব রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অটোভ্যান, গরু আর জমিজমা বিক্রি করে এখন নিঃস্ব তিনি। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সংসার চলছে অন্যের সাহায্য সহযোগিতায়। যেখানে প্রতিদিনের খাওয়ার যোগানই দায়, সেখানে এমন মরণব্যধির চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিশেহারা অবস্থা তাদের। তারপরও আনিছ স্বপ্ন দেখেন সুস্থ হবার। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন আনিছের পরিবার। সবার সহযোগিতা ও ভালবাসায় সুস্থ্য হতে পারেন আনিছ।

সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন-আনিছ, মোবাইল-০১৭২৭-৮৪৭৮৪০ (বিকাশ)।

(এস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২০)