স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান গত ডিসেম্বরে অবসরে গেলে সংস্থাটির সদস্য মাহবুব কবীরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। তবে গত ৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইউম সরকারকে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারণা ছিল মাহবুব কবীরের অবদানের কথা বিবেচনা করে তাকেই নিয়মিত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু তার জুনিয়র এক কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় অনেকের সঙ্গে মাহবুব কবীরও হতাশ হন বলে জানা গেছে।

এ পরিস্থিতিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপে আলোচিত মাহবুব কবীর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছেড়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানা গেছে। নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার পর মাহবুব কবীর ঘনিষ্ঠজনদের কাছে এমন হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেছেন, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান আছে। শত শত কোটি টাকার বিরুদ্ধে তিনি লড়েছেন। মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। চাকরির পরোয়া করেননি। সদস্য পদটি যুগ্ম সচিবের, অতিরিক্ত সচিব হয়েও শুধু দেশের স্বার্থে কাজ করে গেছেন।’

সহকর্মী-শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা ছিল মাহবুব কবীরকেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হবে। তাকে পূর্ণ দায়িত্বে না দিয়ে, আরেক জনকে দেয়া হলো।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত সচিব আব্দুল কাইউম মাহবুব কবীরের ব্যাচমেট, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন তারও পরে। তার অধীনে কাজ করতে স্বাভাবিকভাবেই অশ্বস্তি বোধ করবেন মাহবুব কবীর। তাই তিনি নিজেই এখান থেকে সরে যেতে চাইছেন।

এ বিষয়ে মাহবুব কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার জীবনে চুল পরিমাণ ব্যত্যয় নেই, আমি অন্যায় করিনি। চাকরির মেয়াদ আছে আর এক বছর ১০ মাসের মতো। সরকার যেখানে পদায়ন করবে সেখানেই দায়িত্ব নিয়ে সততার সঙ্গে কাজ করব।’

এদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব কবিরকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় মানববন্ধন করেছে দুটি বেসরকারি সামাজিক সংগঠন।

সোমবার (৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানবন্ধন করা হয়।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১০, ২০২০)