বান্দরবান প্রতিনিধি : ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে বান্দরবানে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে পাহাড়ী সংগঠনগুলো। আজ শনিবার সকালে সাড়ে দশটায় স্থানীয় রাজারমাঠ থেকে ‘আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস’ উদযাপন কমিটির ব্যানারে পাহাড়ী সম্প্রদায় গুলোকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করে। র‌্যালিতে মারমা, চাকমা, ম্রো, বম, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজার মাঠে গিয়ে সমাপ্ত হয়।

রাজারমাঠে আয়োজিত আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজপুত্র চহ্লা প্রু জিমির সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মারমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌরভ সিকদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজিব মির, জেলা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সভাপতি সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, সহ-সভাপতি চিংহ্লা মং চাক, সাংস্কৃতিক সংগঠক জলিমং মারমা, পাহাড়ী লেখক-গবেষক সিইয়ং ম্রো, জনসংহতি সমিতি মহিলা দলের সভানেত্রী ওয়াই চিং মারমাসহ পাহাড়ী নেতৃবৃন্দরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, পাহড়ে বসবাসরত পাহাড়ীদের আদিবাসী হিসেবেই সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যতায় আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বীকৃতি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্ছারণ করেন বক্তারা। একইসাথে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পার্বত্য শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের দাবী জানান।
পরে রাজারমাঠে মারমা, চাকমা, ম্রো, বম, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
(এএফবি/এএস/আগস্ট ০৯, ২০১৪)