প্রবাস ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। একই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ভাইরাসটির কারণে মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে যুক্তরাজ্যের ৫ লাখ মানুষ।খবর বাংলা প্রেস।

লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের গাণিতিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন ও তার দল সম্প্রতি এই গবেষণা করেন। গবেষণা তৈরিতে ইতালি থেকে সংগৃহীত নতুন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

১৯১৮ সালের এক ফ্লুর সঙ্গে এই পরিস্থিতির তুলনা করে ফার্গুসনের গবেষকেরা বলছেন, কোনো নিবারণ পদ্ধতি এখনো পাওয়া যায়নি। এই মহামারিতে যুক্তরাজ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যেই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।

প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার সময় পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গভর্নর টিম জাস্টিস বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যান ফ্রান্সিসকোর উপকূল অঞ্চলের মতো নিজেদের অবরুদ্ধ করে রাখা বা লকডাউনের চিন্তা করছে নিউ ইয়র্ক শহর। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫।

এদিকে মঙ্গলবার আরও ১১টি রাজ্যের মত পানশালা ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার ঘোষণা দেয় ফ্লোরিডা। আমেরিকার দীর্ঘতম সময় ধরে চলা স্পোর্টস ইভেন্ট ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা কেন্টাকি ডার্বি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এর আগেই বাতিল করা হয় মাস্টার্স গলফ টুর্নামেন্ট, মার্চ ম্যাডনেস বাস্কেটবল এবং বেসবলের মৌসুম।

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইনডোর শপিং সেন্টার মিনেসোটার মল অব আমেরিকা জানিয়েছে তাদের সুবিধা মার্চ মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

জেলখানায় একসাথে বেশি মানুষ যেন না রাখতে হয়-তা নিশ্চিত করতে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ গ্রেপ্তারের পরিমাণ কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন।

(পিআর/এসপি/মার্চ ১৮, ২০২০)