স্টাফ রিপোর্টার : সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ নিয়ে জটিল পরিস্থিতিতে পড়ায় দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে দফায় দফায় পেছানো হচ্ছে লেনদেনের সময় সূচক। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে তিন দফা লেনদেন শুরুর সময় পেছানো হয়েছে। নতুন করে ডিএসই ঘোষণা দিয়েছে, দুপুর ২টা থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে।

শেয়ারের দাম কমার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) দেয়া নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণে এই জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসইসি থেকে শেয়ার দাম কমার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হিসেবে একটি মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে গত পাঁচ কার্যদিবসের শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দামের ওপর সার্কিট ব্রেকার সীমা নির্ধারণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে শেয়ার দাম এক শতাংশেরও কম কমতে পারবে।

এই নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য ডিএসই গত পাঁচ কার্যদিবসের শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড় নির্ধারণে কাজ করছে। বিষয়টি খুবই জটিল বলে ডিএসইর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ কারণে বৃহস্পতিবার প্রথমে লেনদেন শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে সাড়ে ১১টা করা হয়। পরবর্তীতে তা পিছিয়ে দুপুর ১টা করা হয়। তবে এ সময়েও নতুন সার্কিট ব্রেকারের নির্ধারণের কাজ শেষ না হওয়ায় লেনদেন শুরুর সময় আবারও পিছিয়ে দুপুর ২টায় নেয়া হয়েছে।

নতুন সার্কিট ব্রেকারের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণে কাজ চলছে। এক্ষেত্রে গত ৫ দিনের শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড়ের নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না, এমন একটি সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণের চেষ্টা চলছে। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে আপনাদের জানানো হবে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৯, ২০২০)