ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : পদ্মায় লঞ্চডুবিতে নিখোজ হওয়া ভাঙ্গার ২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের রমেশ আলী তালুকদারের ছেলে সহিদুল ইসলাম (৩৫) ও মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের খলিল মাতুব্বরের মেয়ে লাইলী বেগম (২৭)।  গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এদের লাশ যার যার বাড়িতে পৌছায়।

তারপর ঐ রাতেই লাশ সহিদুলের লাশ মাধবপুর কবরস্থানে ও লাইলীর লাশ পুখুরিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সংসারের উপার্জনক্ষম মেয়ে লাইলীকে হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন রিক্সাচালক পিতা খলিল মাতুব্বর। মানিকদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ইউনিটের সদস্য মিলন শেখ জানান, পিতা খলিল মাতুব্বর ঢাকায় রিকসা চালাতো। মেয়ে লাইলী পোশাক কারখানায় চাকুরী করত। মূলত লাইলীর আয় দিয়েই চলত সংসার।
হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজী কাওছার জানান, শহিদুলের লাশ বাড়িতে আনার পর হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। লাশ ফুলে দূর্গন্ধ হয়ে গিয়েছে। শহিদুল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর পাশ করে ঢাকায় একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করে গ্রামের পিতার সংসার চালাতেন। তাকে হারিয়ে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
গত সোমবার ঢাকা যাওয়ার পথে পদ্মায় লঞ্চ ডুবিতে এখনও নিখোঁজ রয়েছে ভাঙ্গার বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ১৬ জন। এরা হলেন ভাঙ্গার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের লোকমান মিয়ার স্ত্রী আয়শা বেগম (৪০), মেয়ে সারা বেগম (১২), ভাস্তি রোজিনা আক্তার (১৩)। একই ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে রেজাউল মাতুব্বর (২৮)। ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের ভীমেরকান্দা গ্রামের ইসমাইলের স্ত্রী চাঁদনী আক্তার(৪০), তার তিন মেয়ে সাহিদা (১১), সূবর্ণা (৮), রোমানা (২) ও ইসমাইলের বোন তাছলি বেগম (৫০)। নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ভদ্রকান্দা গ্রামের সফর খানের ছেলে টিটোন খান (৩২), ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া গ্রামের ছলেমান শেখের মেয়ে শাহিনুর (২৮), একই ইউনিয়নের খামিনারবাগ গ্রামের সাফি শেখের ছেলে ওলিউর শেখ (৩০), তুজারপুর ইউনিয়নের সোহরাব হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৮) ও তার মেয়ে রাবেয়া (১০)।
(এডি/এএস/আগস্ট ০৯, ২০১৪)