আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে জীবণু নাশক হ্যান্ড ওয়াশ। গত দুই দিন যাবত এই চিত্র দেখা গেছে উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকার হাট বাজারে। চালের দাম দুই দিনে বস্তা প্রতি ২ থেকে ৩শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজি প্রতি আলুতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭টাকা, পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা, ডাল, তেল, চিনি, রশুন, আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে এখ শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে কাঁচা মালসহ সকল পন্যের দাম পাইকারীভাবেই বাড়ানো হয়েছে। তাই তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারীভাবে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় সাধারন মানুষের পন্য ক্রয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। উপজেলার কোন বাজারে মিলছে না জীবাণু নাশক হ্যান্ড ওয়াশ। মাস্কের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজার মনিটরিং করতে গিয়ে শুক্রবার সকালে উপজেলার গৈলা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চৌধুরী রওশন ইসলাম। নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করার অপরাধে গৈলা বাজারে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১৫হাজার টাকা জরিমানা করেছে ওই ভ্রাম্যমান আদালত।

বেশী দামে পিয়াজ বিক্রি করায় ব্যবসায়ী আতাবর মারামতকে ৫ হাজার টাকা, একই অপরাধে মোঃ সালাউদ্দিন বেপারীকে ৫ হাজার টাকা ও মুদি ব্যবসায়ী কাজল ভদ্রকে চাল ক্রয়ের পাকা রশিদ দেখাতে না পারায় ৫ হাজার টাকাসহ তিন জনকে ১৫হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

জরিমানা করার পর সালাউদ্দিন বেপারী পিয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেন। এসময় তার দোকানে থাকা ২৩ কেজি পিয়াজ জব্দ করেন আদালত। জব্দকৃত ওই পিয়াজ নিলাম ডেকে ৫শ টাকায় বিক্রি করে ভ্রাম্যমান আদালত।

আদালত পরিচালনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন ভূমি অফিস সহকারী সোহেল আমিন, এসআই সুশান্ত, গৈলা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি সুশান্ত কর্মকার, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক সরদার, গৈলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম চাঁনসহ প্রমুখ।

(টিবি/এসপি/মার্চ ২০, ২০২০)