মাওয়া থেকে : প্রায় আড়াইশ’ যাত্রী নিয়ে ছয় দিন আগে ডুবে যাওয়া ‘পিনাক-৬’ নামের লঞ্চটি নদীর তলদেশে খাদের মধ্যে আটকে আছে। কখনও কখনও প্রবল স্রোতের কারণে ভাটির দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া লঞ্চটি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মনজুর বলেন, মাওয়া ঘাটের এক কিলোমিটার এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ডুবে যাওয়া এলাকার ৫০০-৭০০ মিটারের মধ্যে ২০-২৫ মিটার পানির নিচে ওই স্ট্রাকচারটি ধরা পড়ে।

মনজুর বলেন, যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে কোনো লঞ্চ বা এ ধরনের কোনো যান ডুবে যায়নি, তাই ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি লঞ্চ। আর সেটি পিনাক-৬’র হতে পারে।

সাইড স্ক্যান সোনারের মাধ্যমে ওই ধাতব স্ট্রাকচারের অবস্থান জানা গেছে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার মনজুর। কান্ডারি-২’তে একটি ল্যাপটপের ইমেজ দেখিয়ে তিনি বলেন, একটি খাদের মধ্যে ধাতব স্ট্রাকচারটির ইমেজ ধরা পড়ে। তিনি বলেন, স্ট্রাকচারটিরদৈর্ঘ্য প্রায় ১৬/১৭ মি.। আর লঞ্চটির দৈর্ঘ্যও ছিল প্রায় সাড়ে ১৬ মিটারের মতো। তাই অনুমান করা হচ্ছে এটি ডুবে যাওয়া পিনাক হলেও হতে পারে।

এদিকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর ওই স্ট্রাকচারটি যদি পিনাক-৬ এর হয়ে থাকে তাহলে স্রোতের কারণে গড়িয়ে চলায় দু’একটি করে লাশ বের হচ্ছে। আর দুর্বল কাঠামোর কারণে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যেতে পারে বলে জানান কমান্ড‍ার মনজুর।

শনিবার সর্বশেষ নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

(ওএস/অ/আগস্ট ০৯, ২০১৪)