রংপুরে জেলা প্রশাসক ও ৫ ম্যজিস্ট্রেটসহ কয়েকজন অবরুদ্ধ
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর : রংপুর মহানগরীর নবাবগঞ্জ পাইকারী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে অতিরিক্ত মূল্য নেয়ার অভিযোগে শনিবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের ৫ ম্যজিস্ট্রেট, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও কয়েক পুলিশ সদস্যকে দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ব্যবসায়ীরা। পরে ব্যবসায়ীরা বাজারের সম্স্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে ওই সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে তারা চাল ডাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আগের দরেই কেনাবেচা করে আসছিল। কিন্তু শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল প্রথমে মিনি সুপার মার্কেট ও পরে সংলগ্ন নবাবগঞ্জ বাজারে অভিযান চালান। এ সময় ভ্রাম্যমান দলটি কয়েকটি ডাল এবং চিনির দোকানে ঠুকে কয়েক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীর আর্থিক জরিমানা করেন। কিন্ত ব্যবসায়ী নেতারা একজোট উচ্চ মূল্য নেয়ার কথা অস্বীকার করে আদালত পরিচালনাকারীদের একটি দোকানে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। পরে উভয়পক্ষে একটি আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা অবরোধকারীদের ছেড়ে দিলেও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন।
নবাবগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জানান, বিশ্বজুড়ে করোনা আতংকে তারাও সচেতন এবং সজাগ। কোন ব্যবসায়ী যাতে কোন ধরণের সুযোগ নিয়ে ক্রেতার কাছ থেকে বাড়তি দাম না নেয়, সেজন্য তারা নিজেরাই বাজার মনিটরিং করছে। কিন্তু তা সত্বেও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান এই দলটি কোন ঘোষণা ছাড়াই শুধুমাত্র হয়রানীর উদেশ্যে অতিরিক্ত দাম নেয়ার অযুহাত এনে তাদের অর্থদন্ড করে। যা মেনে নেয়ার মত নয়।
এদিকে অভিযান পরিচালনা কারীর প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এনামুল হক জানান, অতিরিক্ত মূল্য নেয়ার সঠিক খবর পেয়েই তারা অভিযানে এসেছেন। তিনি জানান. নিয়ম অনুযায়ীই আমরা জরিমানা করেছি। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামালের মূল্য বৃদ্ধির সঠিক কোন কাগজও দেখাতে পারেন নাই।
(এমএস/এসপি/মার্চ ২১, ২০২০)