সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের দুল্লী গ্রামের ৫০ বছর বয়সী ৪ সন্তানের জনক আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। শুক্রবার রাত অনুমান ১১টার দিকে কেন্দুয়া মদন সড়কে বাদে আঠারোবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত হাবিবুল্লাহ খান বলেন, দুল্লী গ্রাম মরতুজ আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার ৩ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বাদে আঠারোবাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

আব্দুস সাত্তারকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের সময় তার পকেটে নগদ ১৪০ টাকা, ১ জোড়া জুতা, একটি ভিজিডিং কার্ড, একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ও একটি টর্চলাইট জব্দ করা হয়েছে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে কোন আঘাতে চিহ্ন ছিলনা। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য আব্দুস সাত্তারের মরদেহ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যপারে কেন্দুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলাও হয়েছে। আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। কেউ বলছেন, তিনি জুয়া খেলার জন্য জুয়ারীদের কাছে টাকা দাদন করতেন ফলে জুয়ারীরাই তাকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করেছে। আবার কেউ বলছেন স্টোক করে মারা গেছে। তবে হাবিবুল্লাহ খান জানান, সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(এসবি/এসপি/মার্চ ২১, ২০২০)