কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতী। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামে বোনের বাসা থেকে বেড়ানো শেষে চৌদ্দগ্রাম এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া এলাকার হাজারী ব্রিকস ফিল্ডে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এদিকে গণধর্ষণের সময় যুবতীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এলাকা ঘেরাও করে এক বখাটেকে হাতেনাতে আটক করে।
এই ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে শনিবার আটককৃত বখাটেসহ পাঁচজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষিতা যুবতীর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের এক যুবতী (২২) চট্টগ্রামে তার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষে শুক্রবার তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম-কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী গ্রাম বাংলা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস করে বাড়ি ফিরছিলেন।
চট্টগ্রাম-কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী গ্রাম বাংলা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি তাকে রাত আটটায় মহাসড়কের চ্দৌগ্রামের পদুয়া রাস্তার মাথার পরিবর্তে ভুলক্রমে এক কিলোমিটার দূরে ভাজনকরা রাস্তার মাথায় নামিয়ে দেয়। বাস থেকে নেমে ওই যুবতী পায়ে হেটে পদুয়া রাস্তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এসময় পাঁচ বখাটে তাকে জোরপূর্বক পাশ্ববর্তী হাজারী ব্রিক ফিল্ডে তুলে নেয়। এরপর বখাটেচক্র জোর পূর্বক ওই যুবতীর ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লুটে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। যুবতীর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন একত্রিত হয়ে ভাজনকরা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বখাটে দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন মুন্না (২২) কে আটক করে।
এঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে শনিবার আটককৃত ধর্ষক মুন্নাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অপর আসামীরা হলেন- ভাজনকরার সিরাজ মিয়ার ছেলে মাহফুজ, মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে নয়ন, আবদুর রউফের ছেলে আলমগীর, গজারিয়ার আবদুল মন্নানের ছেলে কাইয়ুম।
এব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘ধর্ষিতা যুবতী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।লোকজন এক আসামীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।
(এইচকেজে/এএস/আগস্ট ০৯, ২০১৪)