স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান আদালত।

দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলাস্থ আগ্রা বালিয়াদিঘী গাফুরিয়া দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা’য় “পরিচ্ছন্নতা কর্মী” শূণ্যপদে আবেদনকারীদের পত্রের মাধ্যমে জানানো হয় আজ ২২ মার্চ রোববার সকাল ১০টায় নিয়োগের জন্য নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষা সংক্রান্তপত্রটি আবেদনকারীদের পত্রের মাধ্যমে জানান দেন, আগ্রা বালিয়াদিঘী গাফুরিয়া দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার তথা সম্পাদক মো. মোক্তার আলী।

এ সংবাদ পেয়ে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বিস্মিত হয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে যখন সারা বিশ্বের মানুষ উদ্বিগ্ন ও আতংকিত হয়ে পড়েছে। তাই দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সচেতনতার জন্য একটি “গণবিজ্ঞপ্তি” দেয়া হয়। সেখানে চলা, ফেরা, ভ্রমন, সভা-সমাবেশ.সেমিনার, গণজমায়েত, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়।

এই সংকটময় মূহুর্তে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে কিভাবে নিয়োগ পরীক্ষা আহবান করা হয় ! তাছাড়া মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা জেলা শিক্ষা অধিদপ্তনেরর নেয়ার আর সুযোগ নেই। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম। তাই, তিনি নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নাসিব কায়ছারের নেতৃত্বে পুলিশসহ ভ্রম্যমান আদালতের একটি টিম সকাল সোয়া ১০টায় দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠান। তার আগেই নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো.রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসা’র সুপার তথা সম্পাদক মো. মোক্তার আলী এবং মাদ্রাসা’র সভাপতি ৎমো. শরিফুদ্দীন। কিন্তু ভ্রম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন তারা। নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজকসহ পরীক্ষার্থীরা অনেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু,ইতোমধ্যে পুলিশ জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের সদর দরজা বন্ধ করে দেন। ফলে ব্যর্থ হয়ে তারা এদিক সেদিক পায়চারী এবং তাদেরকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন জনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান।

কিছুক্ষণ পর দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয, দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (তথ্য,প্রযুক্তি ও শিক্ষ) মো.সামিউল ফেরদৌস। তিনি পরে পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে ভ্রম্যমান আদালত নিয়ে ফিরে যান।
মাদ্রাসা’য় “পরিচ্ছন্নতা কর্মী” শূণ্যপদে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা’র সভাপতি মো. শরিফুদ্দীন এবং সুপার তথা সম্পাদক মো. মোক্তার আলী কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু,তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো.রফিকুল ইসলামের পত্র এবং আয়োজনের প্রেক্ষিতে তারা এই নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীদের পত্র দিয়েছেন তারা। অর্থ লেন-দেনের বিষয়ে তারা কিছুই জানেননা।

(এস/এসপি/মার্চ ২২, ২০২০)