মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরাপত্তা মূলক পোষাকের অভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন মৌলভীবাজা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগে সংশ্লিষ্ট কর্মরতরা।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,করোনাভাইরাস থেকে চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা দিতে প্রাথমিক ভাবে ৫ হাজার পিপিই’র চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও মিলেছে মাত্র ১০০ পিপিই, যা চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল।

মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, ইর্ন্টানি চিকিৎসক, আয়া, স্টাফসহ সর্বমোট ৩শ জনবল রয়েছেন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন ৩শ পিপিই। তবে ৩শ লোকবলের চাহিদার বিপরীতে সেখানে মাত্র একবার পড়ার উপযোগী ১শ পিপিই দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। যেগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো চাহিদা অনুযায়ী অপ্রতুল ও নিম্নমানের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চাহিদার বিপরীতে কম সংখ্যক পিপিই আসায় কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যেগে প্রাথমিকভাবে পপলিন কাপর দিয়ে প্রায় দেড়শ পিছ পিপিই তৈরি করতে যাচ্ছে যা আগামী দু’একদিনের মধ্যে সর্বরাহ করা হবে।

মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আহমেদ ফয়সল জামান জানান, আমাদেরকে ৩শ জনবলের চাহিদার বিপরীতে অত্যান্ত নিম্ন মানের মাত্র ১শ পিপিই দেয়া হয়েছে। যেগুলো একবার পড়ার কথা সেগুলো পরবর্তীতে ধুয়ে পড়তে বলা হয়েছে যা কর্তব্যরতদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, চাহিদার বিপরীতে কমসংখ্যক পিপিই দেয়ার কারনে আমরা নিজেরাই নিজ উদ্যেগে পপলিন কাপর দিয়ে একশ পঞ্চাশ পিছ পিপিই বানানোর উদ্যেগ গ্রহণ করেছি যা আগামী দু’একদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।

এ দিকে পিপিই না পেয়ে নিজেদের নিরপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ইন্টার্নির ছাত্ররা । তারা নিরাপত্তা সামগ্রী না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন ।

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ তাউহীদ আহমদ জানান, প্রাথমিক ভাবে আমরা ৫ হাজার পিপিই’র চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। তার বিপরীতে পেয়েছি মাত্র ১শ পিপিই যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।

প্রবাসী অধ্যৃুসিত মৌলভীবাজার জেলা এ পর্যন্ত করোনা রোগী সনাক্ত না হলেও সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী বিদেশ ফেরতসহ মোট ৫৫৮জন ব্যক্তি রয়েছে হোম কোয়ান্টোইনে।

(একে/এসপি/মার্চ ২৫, ২০২০)