রংপুর প্রতিনিধি : মঙ্গলবার রাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা ইমরানের রক্ত কফ ও অন্যান্য উপসর্গ বুধবার পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে ইমরানের করোনায় আক্রান্তের সন্দেহের ঘটনায় তার বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি ঢালি মসজিদ রোড এলাকার ১১টি পরিবারের সকল সদস্যদেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়ে ওই এলাকাটিকে লক ডাউন ঘোষনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ইমরান ওই এলাকার মো: নাসিম খানের ছেলে এবং তিনি নারায়নগঞ্জের একটি চীনা কোম্পানিতে কাজ করতেন। গত ৬/৭দিন আগে তিনি বাড়িতে আসার পর অসুস্থতা বোধ করলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রথমে ওই রোগির জ্বর কাশি ও শ্বাষকষ্ট ছিল। তবে এখন কিছুটা শ্বাষকষ্ট ছাড়া অন্য কোন সমস্যা নেই। রক্তসহ তার বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি আক্রান্ত কী না।

এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশ, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বুধবার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জীবানু বা ভাইরাসনাশক স্প্রে ছিটানো শুরু করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ জলকামান গাড়ি দিয়ে স্যাভলনের সাথে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে নগরময় ছিটানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে রংপুর জেলা দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বুধবার সকাল থেকেই নগরীর শুধুমাত্র ওষুধ ও কাঁচা বাজার ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। শহর একেবারেই ফাঁকা বললেই চলে। তা সত্বেও সেনাবাহিনীর একটি দল বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে গোটা নগরময় গাড়িযোগে মহড়া দিচ্ছে এবং মাইকযোগে তারা মানুষজনকে বাসার বাইরে না বেরানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। সবমিলে রংপুর মহানগর এক ভুতুরে নগরীতে পরিণত হয়েছে।

(এমএস/এসপি/মার্চ ২৫, ২০২০)