আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও পড়েছে হুমকির মুখে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে শুধু ভারতের ক্ষতি হবে নয় লাখ কোটি টাকা। বুধবার (২৫ মার্চ) ব্রিটিশ ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ এ তথ্য জানিয়েছে। ভারত করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলাতে অন্তত দেড় লক্ষ কোটির ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে বার্কলেজ।

বার্কলেজের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতে চার সপ্তাহ সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে। আংশিক লকডাউন চলবে আরও প্রায় আট সপ্তাহ। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের প্রায় পুরোসময়ে এর প্রভাব থাকবে। এতে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধির হার আড়াই শতাংশে নামতে পারে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে তা হতে পারে সাড়ে তিন শতাংশ।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ভারত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) গভীর রাত থেকে লকডাউন কার্যকর করলেও দেশটির বিভিন্ন রাজ্য তার আগে থেকেই লকডাউন শুরু করেছিল। যার প্রভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি দাঁড়াতে পারে নয় লক্ষ কোটি টাকা। তারমধ্যে শুধু দেশটির কেন্দ্রীয় লকডাউনেই ক্ষতি হবে সাত লক্ষ কোটি।

মূল্যায়ন সংস্থা কেয়ার রেটিংস বলছে, চলতি অর্থ বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে দেড় থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত।

ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিক রিসার্চ জানিয়েছে, মন্দার আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে বিশ্বেজুড়ে। করোনার প্রভাবে এ বছর জার্মানির অর্থনীতি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘আগে মহামারির মোকাবিলা হোক। তার পরে অর্থনীতির ক্ষতির হিসেব কষা হবে। বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের মতো ত্রাণের ব্যবস্থা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারও এ ব্যাপারে ভাবছে।’

চলতি সপ্তাহের শেষে অন্তত দেড় লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ ঘোষণা করা হতে পারে। দরিদ্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেয়া, শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকতে পারে। ফলে অসম্ভব হতে পারে দেশটির বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রায় ঠিক রাখা। বছরজুড়ে আরও ১০০ বেসিস পয়েন্ট মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলেও এপ্রিলের গোড়ায় আগামী অর্থবছরের প্রথম ঋণনীতিতে ৬৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাতে পারে দেশটির রিজার্ভ ব্যাংক।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৬, ২০২০)