রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হকাররা গত ২৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে পত্রিকা বিলি-বণ্টন না করে হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই কারণে স্থানীয় পত্রিকাগুলোও সীমিত আকারে প্রকাশ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিতরণ করা হচ্ছে।  

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা ও ছুটি ঘোষণা করায় টাঙ্গাইল জেলা সদর সহ ১২টি উপজেলার অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং অধিকাংশ জনসাধারণ ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় পত্রিকা কেনার গ্রাহক কমে গেছে। হকাররাও পত্রিকা বিলি-বিক্রি বন্ধ করে ঘরে ফিরে গেছেন। ফলে এজেণ্টরা জাতীয় পত্র-পত্রিকাগুলো আনা বন্ধ করে দিয়েছেন।

তবে টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকাগুলো সীমিত আকারে প্রকাশ করে সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোন রকমে সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ঢাকা থেকে প্রকাশিত শুধুমাত্র ‘প্রথমআলো’ পত্রিকাটি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় টাঙ্গাইল পেপার হাউজে আসছে। নির্দিষ্ট পাঠকরা তা গ্রহন করে থাকে।

টাঙ্গাইল শহরে জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকা বিলি-বণ্টনকারী(হকার) মো. লাল মিয়া, মো. শামীম, সামাদ, সুলতান, কাওছার, ফিরোজ, সুজন সহ অনেকেই জানান, টাঙ্গাইল শহরে তিনটি পেপার এজেন্সী রয়েছে। এরমধ্যে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আবেদীন পেপার হাউজে ৩০জন, শহরের নিউ মার্কেটে টাঙ্গাইল পেপার হাউজে ১৮জন এবং থানারোডের শুভ পেপার হাউজে ৭ জন হকার রয়েছে। এখানে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সব ধরণের পত্র-পত্রিকা আসে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত কর্মকান্ডের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে তারা পত্রিকা বিলি-বণ্টন বন্ধ করে দিয়েছেন। আগামি ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টাঙ্গাইলে হকাররা কোন পত্র-পত্রিকা বিলি-বণ্টন না করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের দেশবাসী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক একরামুল হক খান তুহীন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উপজেলাগুলোতে পত্রিকা পাঠানো যাচ্ছেনা। সীমিত আকারে পত্রিকা ছাপানো হচ্ছে। হকাররা হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শহরে পত্রিকা বিলি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

আবেদীন পেপার হাউজের মো. আবুল খায়ের জানান, করোনার কারণে ২৬ মার্চ থেকে হকাররা হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় আগামি ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার পত্র-পত্রিকাগুলো আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ২৬ মার্চ থেকে এজেন্সী বন্ধ রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে এজেন্সীতে গিয়ে পুরনো হিসাব-নিকাশগুলো মিলিয়ে দেখা হয়।

(আরকেপি/এসপি/মার্চ ২৭, ২০২০)