মানিক বৈরাগী


প্রিয় মুমিন মুসলিম ভাই বেরাদার গণ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমতুল্লাহ আশা করি আপনারা আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে নিজ নিজ ঘরে ইনশাআল্লাহ সহি সালামতে আছেন ও পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করছেন।

সারা জাহান আজ অদেখা আজরাইল করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে নিজ দেশ ও দেশের জনগণকে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ও সংক্রমণ থেকে রেহায় পেতে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। এই পনেরো, কুড়িদিন কি শুধুই ঘরেই বসে থাকবেন?

ঘরে বসে থেকে বউ মায়ার সাথে শুধু শুধু এটা ওটা নিয়ে ক্যাচাল না লাগাইয়া আপনাদের কিছু নফল ইবাদতের কথা বলি। চলছে আখেরি জামানা গত হয়েছে চৌদ্দশ হিজরি। আমাদের পেয়ারা নবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ) নিজেই ভবিষ্যৎ করেছেন ১৪শ হিজরির পর এমন কিছু আলেম ওলামা আসবে যারা ইসলামের নামে ফেতনা ফতোয়া ফ্যাসদ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আর মুমিন মুসলমানদের ইমান আঁকিদা নিয়ে টানাটানি করবে। তো এই সময়ে এসব ফ্যাসাদ সৃষ্টি কারি মোল্লাদের হাত থেকে নিজের ঈমান আমল আঁকিদা ঠিক রাখতে হলে সঠিক দুনিয়াবি ও আখেরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আল্লাহ পাক তাঁর দেয়া নেয়ামত প্রবিত্র কোরান ও হাদিসের বাণী আপনাদের জন্য এখানে আমি উল্লেখ করছি।

"ঈমানদার ব্যক্তি জ্ঞানী হবে-এটাই ঈমানের দাবি। পবিত্র কোরানের বহু আয়াতে জ্ঞানার্জনের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হাদীসের বিশুদ্ধ যত কিতাব রয়েছে তার সবগুলোতে কিতাবুল ইলম্ বা জ্ঞানার্জন বিষয়ক অধ্যায় রয়েছে। যাতে উপস্থাপিত হয়েছে এই বিষয়ের ওপর আল্লাহর নবীর (সা.) মুখ নিঃসৃত শত শত হাদীস।

ইসলামী আইন শাস্ত্রের যত গ্রন্থ রয়েছে তার সবগুলোতে জ্ঞানার্জন বিষয়ক অধ্যায় কিতাবের অগ্রভাগে সন্নিবেশিত হয়েছে। পবিত্র কোরানে এরশাদ হয়েছে, ‘‘পাঠ করুন আপনার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন” (সূরা আলাক, আয়াত-১)।

জ্ঞানী ব্যক্তিদের প্রশংসায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন, “আর আমি ওই দৃষ্টান্তগুলো মানুষের উপদেশ গ্রহণের উদ্দেশে বর্ণনা করে থাকি। বস্তুত ওইসব দৃষ্টান্ত কেবল জ্ঞানী ব্যক্তিরাই বোঝে” (সূরা আনকাবুত, আয়াত-৪৩)।

মহান আল্লাহ আরও এরশাদ করেন, ‘‘আপনি বলুন, যারা জ্ঞানী এবং যারা জ্ঞানী নয় তারা কি সমান হতে পারে?” (সূরা যুমার, আয়াত-৯)।

কোরানে পাকের অপর স্থানে জ্ঞান ও অজ্ঞতা সম্পর্কে এভাবেই পার্থক্য নির্ণয় করা হয়েছে “হে নবী বলুন, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান লোক কি এক হতে পারে? আলো ও অন্ধকার কি এক ও অভিন্ন হতে পারে?” (সূরা রাদ, আয়াত-১৬)।

জ্ঞানী লোকদের আল্লাহ তায়ালা উচ্চ মর্যাদা দান করবেন। যেমন এরশাদ হচ্ছে, “তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের সুউচ্চ মর্যাদা দান করবেন”(সূরা মুজাদালাহ, আয়াত-১১)।

জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে প্রিয় নবী (সা.) বর্ণনা করেন, “প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ” ইবনে মাজাহ।

উল্লেখ্য, এখানে জ্ঞান বলতে ইসলামী জ্ঞান বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, একজন মুসলমানের ওপর আল্লাহর কি কি হুকুম রয়েছে এবং তা রাসূল (সা.) এর নিয়ম অনুযায়ী কিভাবে পালন করা যায় তা জানতে হবে। না জানলে গুণাহ হবে।

আল্লাহর রাসূল (সা.) এর পবিত্র মুখ থেকে আরও উচ্চারিত হয়েছে, ‘‘রাতের কিছু সময় জ্ঞান চর্চা করা পূর্ণ রাত্রি (এবাদতে) কাটানো অপেক্ষা উত্তম” (দারেমী)। আরেকটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যার মৃত্যু এমন সময় এসে পৌঁছেছে যখন সে ইসলামকে সমুন্নত রাখার প্রয়াসে জ্ঞান চর্চায় লিপ্ত বেহেশতে তার ও নবীদের মাঝে মাত্র এক ধাপ পার্থক্য থাকবে। (দারেমী)।

বিখ্যাত সাহাবী হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জ্ঞান অনুসন্ধানে বের হয়েছে সে আল্লাহর রাস্তায় রয়েছে সে পর্যন্ত না ফিরে আসবে (তিরমিযী)। অর্থাৎ, জ্ঞান চর্চায় লিপ্ত থাকা আল্লাহর রাস্তায় থাকারই নামান্তর।

জ্ঞান অর্জনের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহর নবী আরও বলেন, জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা (জ্ঞানহীন) ইবাদতকারীর ওপর এরূপ যেরূপ আমার মর্যাদা তোমাদের সবার ওপর। অতপর রাসূল (সা.) বললেন, যে ব্যক্তি মানুষকে ভাল কথা শিক্ষা দিয়ে থাকে তার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তালা, তাঁর ফেরেশতাগণ, আসমানবাসী, জমিনবাসী, এমনকি গর্তের পিপীলিকা পর্যন্ত দোয়া করে (তিরমিযী শরীফ)।

বিখ্যাত হাদীসগ্রন্থ মুসলিম শরীফে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জ্ঞান লাভের উদ্দেশে কোনো পথ অবলম্বন করলো আল্লাহ তায়ালা এর দ্বারা তার বেহেশতের পথ সহজ করে দিবেন।

যখনি কোনো একটি দল আল্লাহর ঘরসমূহের কোনো একটি ঘরে (মসজিদ, মাদ্রাসায়) একত্রিত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করতে থাকে এবং তা পরস্পর আলোচনা করতে থাকে তখনি আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের ওপর স্বস্তি ও শান্তি অবতীর্ণ হতে শুরু করে, আল্লাহর রহমত তাদের ঢেকে ফেলে, ফেরেশতারা তাদের ঘিরে ফেলে এবং আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের কাছে এসব বান্দার আলোচনা (প্রশংসা) করেন। যার কর্ম তাকে পিছিয়ে দেয় তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না (মুসলিম শরীফ)।

হযরত মুআবিয়া (রা.) বলেন, প্রিয় রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তালা যার কল্যাণ কামনা করেন তাকে দ্বীনের (ইসলামের) সুষ্ঠু জ্ঞান দান করেন (বুখারী, মুসলিম)।"

এ হলো আল্লাহ পাক রাব্বুল আলেমিন ও আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ) এর নির্দেশ নামা। তাহলে উপর্যুক্ত কোরান ও হাদিসের আলোকে আমাদের অবশ্যই বহুবিধ জ্ঞান অর্জন কি কেন আমল করতে পারছেন। আর কোরান ও হাদিসের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আমাদের দুনিয়াবি জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া কেন জরুরি তা সম্পর্কে বলি।
আমাদের এই বাংলাদেশে ইসলামের দাওয়াত ইসলামের প্রচার প্রসার করেছেন বড় বড় পীর দরবেশ গাউস কুতুব।

ইসলামের দাওয়াতি কাজে এই সুফি সাধকের ঈমান আঁখলাক দেখে এদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দলে দলে ইসলামের দাওয়াত কবুল করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন অর্থাৎ মুসলমান হন। ভারতবর্ষের ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে তাই দেখাযায়। ভারতবর্ষে মিজানুর রহমান আজহারি, তারেক মনোয়ার, দেলোয়ার হোসেন সাইদি’র মতো মওদুদিবাদী মওলানাদের কোন অবদান পাওয়া যায়না।

ভারতবর্ষে বৃটিশদের আগমনের পরপরই তারা ভারতের জনগণকে বিভক্ত ও বিভ্রান্তির পথ বেছেনেন।
তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী যারা আছে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক হিন্দু তৈরি করেন, রাজনৈতিক ব্রাম্মণ তৈরি করেন একিভাবে মুসলিমদের মধ্যে রাজনৈতিক মুসলিম ও রাজনৈতিক আলেম তৈরি করেছেন। এরপর তারা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প সৃষ্টি করে। সাথে ধর্মানুসারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।

বৃটিশ এ কাজটি শুধু ভারতবর্ষে করে নাই তাদের কলোনি যেখানে যেখানে ছিলো সব মহাদেশেই অপরাধ করেছে।সেই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ও ধর্মান্ধতা, গোঁড়ামির খেসারত আজ ভারতবর্ষের স্বাধীন হওয়া প্রত্যেক রাষ্ট্রের জনগণ কে ভোগ করতে হচ্ছে এই করোনা ভাইরাসের মহামারী কালেও।

তাদের সৃষ্ট রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভারতবর্ষের স্বাধীন হওয়া প্রতিটি রাষ্ট্রের মধ্যে ক্রিয়াশীল হচ্ছে জামাতে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম। এরমধ্যে অধিক প্রভাবশালী হচ্ছে জামাতে ইসলাম। জামাতের ইতিহাস আমার সচেতন পাঠক পাঠিকা প্রায় অবগত।

এই জামাত প্রত্যেক রাষ্ট্রে কিছু মাওলানা তৈরি করেন। তাদের কাজ হলো ইসলামের নামে ওয়াজমাহফিল করা ও আর বয়ানের নামে সাম্পদায়িকতা ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, নির্যাতন ও ইসলামের নামে মুমিন মুসলমানদের বিভ্রান্তি ছড়ানো।

জামাতের এই সাম্প্রদায়িক মোল্লারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে,হেন অপরাধ নাই তারা করেনি।এই যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দলটি জিয়া এরশাদের হাত ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠা ও অপরাধের জন্য রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পায়।

বর্তমানে তাদের সমর্থিত মোল্লা বিশ্ব মহামারী থেকে মানবজাতিকে রাক্ষার উপায় এর কথা ওয়াজ খুতবা না দিয়ে বরং মুমিন মুসলিম ভাইবেরাদর কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের ধর্মভীরু জনগণকে ধর্মান্ধতার দিকে উৎসাহিত করেছে।

তো এই ফাসেক মোল্লাদের হাত থেকে নিজের ঈমান আমল ঠিক রাখতে হলে প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের দুনিয়াবি ও ইসলামি জ্ঞান অর্জন আবশ্যক। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ও নিজে রেহাই পেতে বর্তমান সরকারের আহবানে আপনারা যারা নিজের ঘরে অবস্থান করছেন আপনারা এই সময় টাকে নামাজ কালামের পাশাপাশি নবীজীর আরও একটি নির্দেশ পালন করার আহবান জানাচ্ছি।

সেটা হলো আমরা যারা বাঙালি মুসলমান চিরায়ত ভাবে প্রবিত্র মাহে রমজান এলেই যাদের সুযোগ আছে তারা আরবি কোরান অন্তত একবার হলেও খতম করেছি।আর যারা পারেনি তারা তারাবীর নামাজের মাধ্যমে কোরন খতম করেছি।

আগামী এপ্রিল মাসের মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হবে। তার আগেই আমরা আরও একটি অখন্ড সময় পেয়েছি এই সময় টাকে জ্ঞান অর্জনের কাজে লাগাই। এই পনেরো কুড়িদি আমরা নিজ বাংলা ভাষায় কোরান শরিফ টা খতম করি।আরও পড়ি নিজ বাংলা ভাষায় হাদিসের বিভিন্ন ইমামের গ্রন্থ গুলো। যা পারি।

আমার বিশ্বাস ও আস্থা অন্তত বাংলায় যদি কোরান ও হাদিস সম্পর্কে নুন্যতম পাঠও অর্জন করি একদিকে আপনি দ্বিগুণ ছোয়াবের ভাগিদার হলেন,পাশাপাশি নবীজীর নির্দেশ ও পালন করলেন। এরফলে দুনিয়াবি লাভ হলো ফাসেকি রাজনৈতিক ভণ্ডমোল্লাদের হাত থেকে নিজের ঈমান আমল ঠিক রাখলেন। একি আহলে সুন্নাতের পথে থেকে দেশ-জাতি কে রক্ষা করলেন এবং নিজেকেও রক্ষা করলেন।

আমার প্রিয় মুমিন মুসলমান ভাই বোনেরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক অনুবাদিত, সম্পাদিত প্রকাশিত কোরান শরিফ ও হাদিস শরিফ কিনে আজই পড়া আরম্ভ করি। আলহাজ্ব হজরত মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও আলহাজ্ব হজরত কমরেড মাওলানা গোলাম সামদানি কোরাইশী কোরান ও হাদিস সংকলন ও অনুবাদের অন্যতম সম্পাদক।

কোরানের ও হাদিসের ভাষা ও শব্দ আমল করতে অসুবিধা না-হয় মতো বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আরাবি শব্দ কোষ বই প্রকাশ করেছে। আরবি শব্দ কোষের অন্যতম সম্পাদক ও আলহাজ্ব হজরত কমরেড মাওলানা গোলাম সামদানি কোরাশী।

আরও পড়তে পারেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী'র বিষাদসিন্ধু, বাঙালির অন্যতম মুসলিম দার্শনিক অধ্যক্ষ দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফের ইসলাম ও কোরান-হাদিসের আলোকে লেখা বই সমুহ।পড়তে পারেন ওয়াজেদ আলী'র বই,কবি গোলাম মুস্তফা'র লেখা বিশ্বনবী। ক্যারন স্ট্রিং এর আরবের ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও অন্যান্য।

পড়তে পারেন ভাই গিরিশচন্দ্র সেন এর অনুবাদিত প্রথম বাংলা কোরান শরিফ ও তাসকিরাতুল আম্বিয়া। বিচারপতি হাবিবুর রহমান অনুবাদিত বাংলা কোরান শরিফ, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী'র বই পাশাপাশি বিভিন্ন পীর আউলিয়া, গাউস কুতুবের বই ও জীবনী।

প্রিয় ভাইয়েরা ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি বিশ্বের অপরাপর জ্ঞানও আমাদের অর্জন করতে হবে। নবীজী অপরাপর জ্ঞানও অর্জন করতে বলেছেন তাই আমাদের জানতে হবে মৌলিক বিজ্ঞানের ধারণা, জানতে হবে সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কে অর্থনীতি বিষয়ে।

প্রিয় মুমিন মুসলমান ভাই বোনেরা আসুন এই সময়ে নিজের ঈমান আমল ঠিক রাখতে ও বিভিন্ন মতলববাজ রাজনৈতিক আলেমের ফেতনা ফতোয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে পেয়ারা নবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ) এর আহলে হাদিস এর পথে চলে চলমান বিশ্বে মানবিক মানুষ হিসাবে পরিচয় দি।

ঋণ স্বীকার : উইকিপিডিয়া, ম ন আবছার।

লেখক :কবি ও নব্বইয়ের নির্যাতিত প্রগতিশীল ছাত্রনেতা, কক্সবাজার।