নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারনে ফাঁকা হয়ে গেছে হাট-বাজারসহ রাস্তাঘাট। বন্ধ দোকানপাঠ, হোটেল-রেঁস্তোরা ও অফিস আদালত। সীমিতভাবে খোলা রয়েছে ওষুধের দোকান আর কাঁচাবাজার । জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।

শুক্রবার সকালে পৌর শহরের লক্ষীপাশা, কুন্দশী চৌরাস্তা মোড়, ফয়েজ মোড়, জয়পুর মোড়সহ লোহাগড়া বাজারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, ফাঁকা রাস্তাঘাটে লোকজন নেই বললেই চলে। ভ্যান ও ইজিবাইক চলছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। কোন যাত্রী নাই। চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ হবার পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। দু-একটি ক্লিনিকে জরুরি সেবা চালু রয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। ভর্তি হওয়া অনেক রোগী করোনাভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ছাড়া কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না।

এ দিকে আয় কমে যাওয়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় কর্মজীবি মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দিনমজুর- শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামি দিন গুলোতে পরিবার পরিজন নিয়ে কি ভাবে দিন কাটাবেন, এ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। তাদের দাবি, সরকার দ্রুত ভিজিএফ কর্মসূচি চালু করুক।

শুক্রবার দুপুরে কথা হয় দিনমজুর বাবু শেখ, কার্তিক রায়, শাহিন, জিহাদ, মশিয়ার, এনাম, মনির, রুবেলসহ অনেকের সাথে। তারা বলেন, দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হচ্ছে। কাজকর্ম নেই। ঘরে যে খাদ্য সামগ্রী রয়েছে, তা দিয়ে দু’তিন দিন চলবে। তার পর কি হবে ?

(আরএম/এসপি/মার্চ ২৭, ২০২০)