উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে কারফিউ শিথিল করা হয়। রাতে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য পুনরায় বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

জীবননগরে মহড়ারত প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার লে.কর্নেল রেজাউল জলিলের কাছে নির্দেশ আসে যশোর সেনানিবাসে ফিরে যাওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লে.কর্নেল জলিল তাঁর প্রথম বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন নিয়ে সব অস্ত্রসহ যশোর সেনানিবাসে চলে যান। পরবর্তীতে প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাস বড় করুণ।

দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের প্রধান মেজর এম.এ.ওসমান চৌধুরী বেলা ১২ টার মধ্যে সীমান্তের সব কোম্পানীগুলোকে চুয়াডাঙ্গার ইপিআর সদর দফতরে রিপোর্ট করতে বলেন। কুষ্টিয়া আক্রমনের পরিকলপনানুযায়ী একটি কোম্পানি ঝিনাইদহ পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোম্পানীটি যশোর ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে।

পাকিস্তানি নৌবাহিনী বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করে। নৌ-বন্দর এলাকায় পাক নৌবাহিনী বাঙালি নৌসেনাদের নিরস্ত্র করে হত্যা করে।

ঢাকার ওপারে জিঞ্জিরা দখল নিয়ে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি বিনিময় হয়। যশোর,দিনাজপুর,কুষ্টিয়ার দখল প্রতিষ্ঠা নিয়ে তীব্র সংঘর্ষ হয়। দেশের তিন-চতুর্থাংশ এলাকা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ময়মনসিংহ থেকে মেজর নুরুল ইসলাম ঢাকায় বেতার যোগে সংবাদ প্রেরণ করেন যে,সেখানে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এর পাকিস্তানি সৈন্যরা বাঙালি সৈনিকদের আক্রমণ করেছে। সংবাদ পেয়ে মেজর কে.এম.শফিউল্লাহ মেজর নুরুল ইসলামকে সাহায্য করার জন্য সৈন্য নিয়ে সেদিকে অগ্রসর হন।

পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি খান আবদুল কাইউম খান পেশোয়ারে বলেন,আওয়ামী লীগের ছয়-দফা ছিল বিচ্ছিন্নবাদের কর্মসূচি এবং একটি সুস্পষ্ট দেশদ্রোহী কার্যকলাপ। তনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা সফরকালে আমরা যা দেখেছি তা হল উন্মুক্ত বিদ্রোহ। এ প্রেক্ষিতে সামারক বাহিনীর গৃহীত ব্যবস্থা অত্যন্ত সঠিক ও সময়োপযোগী এবং ন্যায়সঙ্গত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/মার্চ ২৮, ২০২০)