উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বিকেল চারটার মধ্যে ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের সমাবেশের কাজ সম্পন্ন হয়। ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্র করে বাংলাদেশের প্রতি তাঁদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ।

পাকিস্তান বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ের ওপর সমবেত হয়। সন্ধ্যের দিকে পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণের সূচনা করে। মুক্তিবাহিনী এই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।

সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুকে সেনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তেঁজগাও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। অতঃপর রাতে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমান যোগে তাঁকে করাচী নিয়ে যাওয়া হয়।

রাত ১১ টায় জগদীশপুরের মহড়া থেকে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা যশোর ইউনিটে ফিরে আসে এবং গোলা-বারুদ অস্ত্রাগারে ফেরত দেয়।

ক্যাপ্টেন রশীদের সফল অভিযানে ২৫তম পাঞ্জাবের মেজর আসলাম ও ক্যাপ্টেন ইশফাকসহ ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাবার সময় পথে প্রাণ হারায়।

রাতে ১০০ জনের মত বাঙালি ই.পি.আর-কে পাক সেনারা প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে রমনা কালিবাড়ির নিকট নৃশংসভাবে হত্যা করে।

সকালে ময়মনসিংহের রাবেয়া মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে ই.পি.আর বাহিনী ও হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।

নির্ভীক সৈনিক সিপাই লুৎফর রহমান লালমনিরহাট শহরের সন্নিকটে অবাঙালি ও বাঙালি ই.পি.আরদের সংঘর্ষে শহীদ হন।

ই.পি.আর সিপাই আব্দুল হালিম ১২নং উইং-এর সুনামগঞ্জ কোম্পানী হেড কোয়ার্টার-এ পাক সেনার আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে শহীদ হন।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/পিএস/মার্চ ২৯, ২০২০)