মানিক সরকার মানিক, রংপুর : প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস শনাক্তে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ক’দিন আগে এসে পৌছাঁলেও এখন পর্যন্ত আসেনি কিট। তবে কীট না এলেও এটি পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই দু’জন চিকিৎসক ও দু’জন টেকনিয়ানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ’ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দারের ভূমিকা তারা এখন বসে তসবি গুনছেন বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রোগির দুই স্বজন। কবে কখন এই করোনা মেশিনের কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন কর্তৃপক্ষ তা তারাও জানেন না। তবে আপতত মেশিন স্থাপনের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জনগণকে সচেতন করে তুলতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে চালানো কার্যক্রমে হোম কোয়ারাইন্টেনে থাকার সন্দেহজনক রোগির সংখ্যা গত কয়েকদিনে অন্তত ১’শ জনের মত কমে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন খুব একটা ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড: নুরন্নবী লাইজু জানান, করোনা বিস্তার রোধে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ, ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে যে মেশিনটি দেয়া হয়েছে, এর কার্যক্রম শুরু হলেই আক্রান্ত সন্দেহে রোগির রক্ত, কফ. ঘাম ও অন্যান্য উপসর্গ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এটি কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই মেসিনটি আসবে বলে জানান।

এদিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলার অতি দরিদ্র থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সচেতন করে তোলার লক্ষে মাস্ক এবং বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় জীবানু নাশক ছিটানো অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা তার পরিষদের সদস্যদেও নিয়ে সাধারণ ছুটির মধ্যেও মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।

(এমএস/এসপি/মার্চ ২৯, ২০২০)