নোয়াখালী প্রতিনিধি : “করোনায় নয় আর কদিন এভাবে থাইকলে আমরা না খাই মরি যামু” ত্রাণ দিতে যাওয়া এক সেচ্ছাসেবক কর্মিকে এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন , নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী গ্রামের বাসিন্ধা দিন মজুর আবুল কালাম। চলমান করোনায় ভাইরাসের কারনে ঘর বন্ধী সবাই, বিত্তবান ও মধ্যবিত্তদের তেমন সমস্যা না হলেও সব চেয়ে বেশি বিপাকে এবং দূর্ভোগে পড়েছে, রিক্সাচালক, অটোচালকসহ খেটে খাওয়া দিনমজুর। অনেকেই প্রশাসনের ত্রানের অপেক্ষায় আছেন বলেও জানান ।

অনেকেই আয় রোজগার বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন, একদিকে মৃত্যুর ভয় অন্যদিকে খিদের জ্বালা এই দুইয়ে মিলে হতাশা নিয়ে দিন পার করছেন তারা।

এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে এসব অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনটি। প্রায় ১ হাজার মানুষের তালিকা করে ইতিমধ্যেই তারা ২শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করে।
হাতে গ্লাবস, মুখে মাস্ক "সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন' লেখা সম্বলিত লাল টি শার্ট পরে ১২/১৫ জন তরুন একেকটি মোটর সাইকেল চালিয়ে এক জন এক ওয়ার্ডে গিয়ে তালিকায় থাকা দিনমজুর মানুষের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ৮/৯ টি পণ্যে ভরা একটি ব্যাগ যাতে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াজ, সাবান, হ্যাক্সিসল, মাস্ক।

খুব সর্তকতার সহিত তারা সবাইকে পৌঁছে দিচ্ছেন এই নিত্যপণ্য খাদ্যদ্রব্য। এসব পেয়ে খুশিতে আতœহারা সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলো। ৩০ মার্চ সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪ টা র্পযন্ত চলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম।

এমন উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান এর কাছে বলেন, "সময় এখন মহামারি আর সামাজিক দুরুত্বের, তাই এই দুঃসময়ে মানুষ হোক মানুষের" এই স্লোগান ধারণ করে আমরা কয়েকজন তরুণ যুবক উদ্যোগ নেই, যে কথা সে কাজ, আমাদের সবার অর্থ যোগ করে যা পারছি মানুষের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করছি, আমাদের ফান্ড প্রায় শেষের পথে, এ পর্যন্ত ২০৩ টি পরিবারের মাঝে আমরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করি। স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিত্তবান এবং দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে আমাদের তালিকা সম্পন্ন করতে পারবো। আমরা কোথাও দল বেঁধে যাইনা, ১ টি মোটরসাইকেলে একজনই গিয়ে তালিকাভুক্ত মানুষটির বাড়িতে ত্রাণ দিয়ে আসে কেউ আমাদের কাছে আসতে হয়না"।

এই সংগঠটির এমন উদ্যােগে খুশি সুবর্ণচর উপজেলাবাসী। শুধু এবারেই নয়, প্রতিটি দূর্যোগপর্ণ সময়ে সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন উদ্ধার, অভিযান, ত্রাণ বিতরণ ও সমাজ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

(এস/এসপি/মার্চ ৩০, ২০২০)