উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : এক লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ত্যাগ করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ১ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন স্বাধীনতা বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপিত হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টে বাংলাদেশের জনগনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতি তাঁর নিজের,ভারতীয় জনগন ও সরকরের পক্ষ থেকে একাত্মতা ও সংহতি ঘোষণা করেন।

বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়ায় কৃষক-পুলিশ-ইপিআর এর সম্মিলিত ৫০০ যোদ্ধার দল পাকবাহিনীর ডেল্টা কোম্পানির সৈন্যদের পাঁচটি অবস্থানে হামলা চালায়। অগ্রসরমান জনতার সমুদ্র থেকে উন্থিত ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি ্এবং অব্যাহত গুলিবর্ষণে ডেল্টা কোম্পানির প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে।

সকাল ৭ টায় হালিশহরের কাঁচা সড়ক জংশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড আর্টিলারি,ট্যাঠঙ্কসহ ইপিআর ব্যুহ ভেদ করে হালিশহরের দিকে অগ্রসর হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর গুলিতে ১৫ জনেরও অধিক ইপিআর সদস্য শহীদ হন।

বেলা ২টায় চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দফতর হালিশহরের পতন ঘটে। পাক অফিসার লে.আতাউল্লাহ শাহ আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন। ক্যান্টমেন্ট ব্যতীত সমগ্র যশোর শহর মুক্ত হয়।

বাঙালি অপারেটর সিপাই মুজিবুল্লাহ যশোর সেক্টর থেকে অয়্যারলেস সেট মারফত বাংলা ,উদ এবং ইংরেজিতে বিশ্বের কাছে বাঙালিদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য আকুল আবেদন জানান।

দিনাজপুর শহর শত্রুমুক্ত হয়। সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থানরত তৃতীয় বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের ওপর পাকবাহিনীর ২৬ তম এফএফ এবং অন্যান্যরা অতর্কিতে হামলা চালায়।

৩১ তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি অকস্মাৎ ১২ নং উইং হেড কোয়ার্টার খাদেমনগর আক্রমণ করলে সিপাই আবদুল হালিম,সিপাই আবদুল রাজ্জাক ও সিপাই শরাফত আলীসহ কয়েকজন শহীদ হন।

লে. মাহফুজ তাঁর প্লাটুনসহ এক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে কর্ণফুলির পাড়ে অবস্থিত কৃষি ভবনে অবস্থানকারী পাকবাহিনীর তৃতীয় কমান্ডো ব্যাটালিয়নের একটি প্লাটুনকে বিতাড়িত করে উক্ত ভবনটি পুনর্দখল করেন।


তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/পিএস/মার্চ ৩১, ২০২০)