নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস আতঙ্কে হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে ধারাবাহিকভাবে কমছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা পর্যন্ত নেমেছে। আর ডিমের ডিজন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বুধবার রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া ও খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমার পাশাপশি কমেছে বিক্রির পরিমাণ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে আগেই ক্রেতারা বাড়তি দামে অধিক পরিমাণে কিনে রাখায়, এখন দাম কমলেও সেভাবে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

দাম বাড়ার এই লাগাম টেনে ধরতে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। জরিমানা করা হয় একাধিক ব্যবসায়ীকে। ফলে পেঁয়াজের বাড়তি দামের লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরা সম্ভব হয়।

অবশ্য করোনা অতঙ্কে বাড়তি কেনাকাটার পর কয়েকদিন ধরেই বাজারে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দামেও। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম।

এতে ৮০ টাকায় উঠে যাওয়া পেঁয়াজ এখন বিভিন্ন বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য কেউ কেউ ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর ১২০ টাকা উঠে যাওয়া ডিমের ডজন নেমে এসেছে ৮০ টাকায়। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৯০ টাকা ডজন বিক্রি করছেন।

ডিমের দামের বিষয়ে হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন আগে যে ডিমের ডজন ১২০ টাকা বিক্রি করেছি, এখন তা ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। সরকার ছুটি ঘোষণা করার পর থেকেই ডিমের দাম কমছে। ১২০ টাকা থেকে প্রথমে ১০০ টাকা, এরপর ৯০ টাকা আর এখন ৮০ টাকায় নেমেছে।

এই ব্যবসায়ী বলেন, ডজনে ডিমের দাম ৪০ টাকা কমলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক সময়ে দিনে যে ডিম বিক্রি হয়েছে, এখন তার দশ ভাগের একভাগও বিক্রি হচ্ছে না। ছুটির কারণে ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে চলে গেছেন। যারা ঢাকায় আছেন তারা করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। অবার অনেকে আগেই ডিম কিনে রেখেছেন। এসব কারণেই মনে হয় ক্রেতা কম।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজের দাম কমেই যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে ৪০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে কেজি ৮০ টাকা হয়েছিল। তখন অনেক পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। কিন্তু এরপর দফায় দফায় দাম কমলেও বিক্রি তেমন একটা হচ্ছে না। এখন ৩০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। তারপরও আগে যা বিক্রি করেছে তার দশ ভাগের এক ভাগও বিক্রি হচ্ছে না।

(ওএস/পিএস/এপ্রিল ০১, ২০২০)