রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে জ¦র ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া কলেজ ছাত্রের বাড়িসহ পাঁচ বাড়ির ১৮ জনকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে জানাযা শেষে তার মরদেহ দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশিষ চৌধুরী জানান, মরদেহ সমাহিত করার পরে মারা যাওয়া কলেজ ছাত্র হাসান আলী, আব্দুল আলীম, আল কামাল, সাইফুল ইসলাম ও শহীদুল্লার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া তার দাফন-কাফনে অংশ নেয়া ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও নারায়নপুর গ্রামের বাহারুল ইসলামের ছেলে হাসান আলীর মা

রোজিনা খাতুন বলেন, তার ছেলে হাসান এক সপ্তাহ আগে রাতে মাঠে শ্যালো মেশিনে পানি দিতে যেয়ে ভয় পায়।এরপর থেকে তার শরীরে জ্বর ও বুকে ব্যাথা অনুভুত হয়। হাসপাতালে বা কোন চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে তাকে কবিরাজ দেখানো হয়। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় গ্রাম ডাক্তারের কাছ থেকে ঔষধ খাওয়ানো হয়। একপর্যায়ে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে হাসান মারা যায়। সমাহিত করার আগে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানোর জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। কেউ যাতে অযথা ঘরের বাহিরে ঘোরাফেরা না করেন এ জন্য তারা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে এ টহল জোরদার করা হয়। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শহরের খুলনা রোড মোড়, কদমতলা, নিউমার্কেট, পাকাপোলের মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছেন ও মাইকিং করছেন। এছাড়া শহরে র‌্যাব-পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে।

তারা সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হবেন না। বের হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকান পাট অধিকাংশই বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাটে লোক-সমাগম খুবই কম। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ০৩, ২০২০)