মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মরণঘাতী করোনা ভাইরাস আতঙ্কের প্রভাব পরেছে মৌলভীবাজা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে, কমছে সাধারণ রোগী সংখ্যা।

গণপরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে করোনা আতঙ্কের কারনে ভুল ধারণা থেকে রোগী না আসায় দিনদিন কমছে জেলার সর্বোচ্ছ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীর সংখ্যা এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

২৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে যেখানে প্রতিনিদিন সিট না পেয়ে অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে ফ্লোরে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হত সেখানে এখন রোগী ভর্তির সংখ্যা একদম সর্বনি¤œ পর্যায়ে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সরেজমিন ঘুরে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মেডিসিন,গাইনী,ডায়রিয়া,শিশু ওয়ার্ড,পুরুষ-মহিলা ওয়ার্ড মিলে সর্বমোট রোগী ভর্তি রয়েছেন ৭৬ জন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন রোগী কম হলেও করোনা আতঙ্কের কারনে ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কোনভাবেই ব্যহত হচ্ছেনা। ভর্তি হওয়া সাধারণ রোগীদের পাশে থেকে সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক,নার্সসহ স্টাফরা।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আহমেদ ফয়সল জামান জানান, রোগী কম থাকার কারন হিসেবে বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ রোগী মূলত একধরণের আতঙ্কের কারনে আসছেন না। যারা ভর্তি আছেন তাদের সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের অনেক গুলো হাসপাতালেই সব স্টাফদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মেডিকেল ইকোপমেন্ট পিপিই না থাকলেও আমার সর্বাত্মক চেষ্টায় আমাদের হাসপাতালের প্রায় ৩শ জনবলের সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা পোষাক পিপিই পেয়েছেন। যার কারনে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে আমাদের সব স্টাফরা পিপিই পড়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, রোগী কম ভর্তি হওয়ার আরেকটি কারন এখানে দালালদের তৎপরতা, তারা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথী পাল কাননোগগো বলেন, আমিসহ হাসপাতালের ৩৭জন চিকিৎসক সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে সবাই একযোগে কাজ করছেন, আমাদের আউটডোরসহ সবগুলো বিভাগই খোলা রয়েছে। তবে যাতায়াতের কারনে কম আসছেন রোগী। তিনি বলেন, মূলত ছোটখাটো রোগের জন্য অনেকেই না এসে হটলাইনে সেবা নিচ্ছেন।

এদিকে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ তাউহীদ আহমেদ জানান, ছোটখাটো কারনে এই সময়ে অনেকে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন, অন্যরা আতঙ্কের কারনে হয়তো হাসপাতালে আসছেন না।

অপর দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে সর্বশেষ ৬৬০ জন ব্যক্তি হোমকোয়ারেন্টাইনে আছেন।

(একে/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০২০)