বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট মনিটরিং না থাকায় জেলা শহরসহ গ্রাম-গঞ্জ, হাটবাজারে অধিকাংশ মানুষ মানছেন না মরণঘাতী করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচি। আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী সড়কে দিয়ে যাবার পর-পরই লোকজন ঘর থেকে দল বেধে সড়কে চলাচল করছে। আড্ডা দিচ্ছে খাবার হোটেল ও চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে। আবার আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখলে আড়ালে একটু সরে যাচ্ছে। একই ভাবে শহরে প্রাইভেট কার ও মাক্রোবাসও চলছে। 

আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচি পালন না করা সমাজ ও রাস্ট্র বিরোধীদের এক ধরনের ‘চোর-পুলিশ খেলা’ চলছে বাগেরহাটে। একদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে বাগেরহাটে বাড়িতে ফেরা ৪২০০ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারের অধিক প্রবাসীর হোম কোয়ারেন্টিনের করেনি। এই অবস্থান ৩ ফুটের সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচি না মেনে লোকজন ঘর থেকে দল বেধে সড়কে চলাচল, বাজার করা ও আড্ডা দেয়ায় বাগেরহাটে করোনা ঝঁকি বেড়েই চলেছে।

বাগেরহাট শহরের মাছের বাজার, কাঁচা বাজার আগের মতোই জমজমাট। ঔষধের দোকান ছাড়া অন্য ব্যবসা সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল ১০ টার পূর্বে না খোলার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা কেউ। শহরের ফলপট্রি মোড়ে লোক সমাগমে আগের মতোই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মাছ বাজার, কাচাঁ বাজারেও ৩ ফুটের সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচি না মেনে ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে। জেলা সদরের মতো উপজেলা শহরসহ গ্রাম-গঞ্জ, হাটবাজারে অধিকাংশ মানুষ মানছেন না মরণঘাতী করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচি।

বাগেরহাটের দায়িত্বশীল আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, জেলা সদরসহ বাজারে নিয়মিত টহল দেয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মতে করোনা প্রতিরোধে এখনও জনগনকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। জনসাধারনকে বাইরে অহেতুন ঘোরাফেরা বা আড্ডা না দিয়ে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। যখনই এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবার নির্দেশনা পাবেন, তখনই তারা আরো কঠোর হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

(এসএকে/এসপি/এপ্রিল ০৫, ২০২০)