ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতির কারণে নয় নিয়মিত রিপ্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ১৭৮জন রাশিয়ান নাগরিকের ঢাকা ত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। যেসব রাশিয়ান নাগরিকের মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো তারাই সোমবার ঢাকা ত্যাগ করেন। এদের নাগরিকের ভিসার মেয়াদ এবং উপ-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজের চুক্তির মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে নিয়মিত বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় এই রাশিয়ানরা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের মাধ্যমে এসব নাগরিক চার্টার্ড ফ্লাইট (ইও ২৫৮৪) যোগে সোমবার তারা ঢাকা ত্যাগ করেন। রাশিয়া হতে এরচেয়ে বেশী সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ও কর্মী রূপপুর প্রকল্পে আসার জন্য বাংলাদেশের দূতাবাসে আবেদন করে অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ১৭৮ জন ঢাকা ত্যাগ করেননি। এদের মার্চ ও এপ্রিলে যাওয়ার কথা ছিল। যে কাজের জন্য এসব রাশিযানদের আনা হয়েছিল, সেকাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তাই এদের ভিসা ও উপ-ঠিকাদারের চুক্তি মেয়াদও শেষ হয়েছে। করোনার কারণে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় এরা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে ফ্লাইট এ্যরেঞ্জ করে একসাথে তারা দেশে ফিরলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রকল্পে বিভিন্ন নির্মাণ কাজে, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংস্থাপনে এবং টেষ্টিং এর জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ও কর্মি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মরত থাকে। কাজ শেষ হলেই তারা আবার চলে যায়। এটি রুটিন ওয়ার্ক। জুন-জুলাই হতে পরবর্তী ধাপের কাজ এবং বছরের শেষের দিকে মূল রিএ্যাক্টর বসানোর কাজ শুরু হবে। জুন-জুলাইয়ের কাজের জন্য নতুন বিশেষজ্ঞ ও কর্মী যারা আসবে তারা ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসে আবেদন করে অপেক্ষামান রয়েছে। এই সংখ্যা আরো বেশী। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তাদের ভিসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা বাংলাদেশে আসবে। এই রাশিয়ানদের চলে যাওয়ার সাথে প্রকল্পের চলমান নির্মাণ কাজের কোন সম্পর্ক নেই। এখনও প্রকল্পে রাশিযানসহ দুই সহস্রাধিক বিদেশী নাগরিক কর্মরত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ আগের মতোই পূর্ণোদ্যোমেই চলছে।

প্রসঙ্গত: ভিসা ও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় বোয়িং ৭৬৭ মডেলের একটি উড়োজাহাজে রূপপুর প্রকল্পের ১৭৮ জন রাশিয়ান নাগরিক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মস্কোর উদ্দেশে রওনা হয়ে যায়।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২০)