বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৪) কে গণধর্ষণসহ নগ্ন ছবি মোবাইলে প্রচারের অভিযোগে আদালতের নিদের্শে গত শনিবার রাতে পুলিশ মহিলাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের আসাব আলীর পুত্র সালেখ মিয়া (২৩) ও পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের মখলিছ মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (৩২)। গ্রেফতারকৃতদের রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও ধর্ষিতার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীটি দীর্ঘদিন ধরে (১৪) তার নানাবাড়ী বড়লেখা উপজেলার পূর্বদৌলতপুর গ্রামে বসবাস করত। ঘটনার দিন গত ১৫ জুলাই সকালে প্রতিবন্ধী কিশোরীর মামা মখলিছ মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগমের সহায়তায় সালেখ মিয়া ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে আল্লাদাদ চা বাগানের পাহাড়ী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সালেখ মিয়া ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় বাগানের আরো ৪/৫ জন যুবক ঘটনাটি দেখে সালেখ মিয়ার কাছ থেকে কিশোরীকে ছিনিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করে এবং কিশোরীর নগ্ন ছবি তুলে। পরে মোবাইলে কিশোরীর নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, টাকার লোভে কিশোরীর মামী আছমা বেগম কিশোরীটিকে অপহরণে সহায়তা করে।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানান, ঘটনার পর তিনি বেশ কয়েকদিন মামলার জন্য বড়লেখা থানায় আসলেও পুলিশ তার মামলা নেয়নি। পরে তিনি বাধ্য গত ৫ আগষ্ট মৌলভীবাজারের নারী ওশিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে বাদী হয়ে সালেখ মিয়া ও আছমা বেগমের নাম উল্লেখ করে ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামীর নাম উল্লেখ করে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন।। এ ব্যাপারে আদালত বড়লেখা থানাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ দিলে শনিবার পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহন করেন। এদিন রাতেই পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, মামলার বাদী থানায় আসার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। আদালতের নিদের্শে গত শনিবার আগষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহন করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(এলএস/এএস/আগস্ট ১০, ২০১৪)